ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লার কৃষি জমিতে ভাইরাস রোগ!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২০  

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এবার কৃষি জমি ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কয়েক হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে কৃষক ও কৃষাণিদের মাথায় হাত পড়েছে।

কৃষকদের সমস্যা সমাধান ও পরামর্শ দেয়ার জন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা থাকলেও কৃষকরা কখনো ওই কর্মকর্তাকে দেখেন নাই বলে তারা দাবী করছেন। ১৩ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মাঝে ৫০ হেক্টর জমির ধানে টুনডো ভাইরাস ও অপুষ্টি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ফসলের সমস্যা দেখা দেওয়ার পর থেকেই কৃষক জমিতে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করলেও ধানের কোনো উন্নতি চোখে পড়ছে না। একই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অন্য জমির ধান গাছ গুলোও। ধান গাছের এ রোগের নাম ‘টুনডো’ ভাইরাস বা অপুষ্টি জনিত রোগ।

সরেজমিনে হেসাখাল ইউনিয়ন, মোকরা ইউনিয়ন, রায়কোট দক্ষিণ, পেরিয়া ইউনিয়ন গিয়ে দেখা যায়, ধান গাছের বাস্তব চিত্র। খেতের পর খেত ধান গাছের শীষ লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। শীষ শক্ত হয়ে হেলে পড়ছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, ওষুধ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। অনেক কৃষক এই রোগটির হাত থেকে ধানকে বাঁচাতে সতর্কতা হিসেবে ওষুধ প্রয়োগ করছেন। কিন্তু কোন ভাবেই খেতের ফসল ভালো করতে পারছেন না তারা।

হেসাখাল ইউপির পাটোয়ার গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, তার ৪৮ শতক জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ৪৬ জাতের ২৪ শতক ও ২২ জাতের ১২ শতক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি অফিস থেকে তাকে কখনো সহযোগিতা করা হয়নি। মৌকরা ইউপির তফৈইয়া গ্রামের কৃষানি রাসিদা বেগম বলেন, তার ৫২ জাতের ৬০ শতক জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি অফিসার আছে এমন কথা শুনেছি, কিন্তু কখনো চোখে দেখিনি। রায়কোট দক্ষিণ ইউপির মগুয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান জানান, ২৮ জাতের ৪৮ শতক জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে । কৃষি অফিসারকে কখনো তিনি দেখেননি বলে দাবি করেন।

নাঙ্গলকোট উপজেলা কৃষি অফিসার মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার নাঙ্গলকোটে ১৩ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মাঝে ৫০ হেক্টর জমির ধানে টুনডো ভাইরাস ও অপুষ্টি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তবে লক্ষ মাত্রার কোন ব্যঘাত হবেনা।