ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খালেদার অসুখ কি সাজানো নাটক?

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ মে ২০২১  

বেগম খালেদা জিয়া এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু তিনি হাসপাতালে আরো কিছুদিন থাকবেন। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো যে, বেগম খালেদা জিয়া কোন অসুখে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলছে না। আর এই প্রেক্ষাপটেই প্রশ্ন উঠেছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ সে অসুখটি কি সাজানো নাটক না সত্যিকারের অসুখ। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে একের পর এক নানা রকম মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া যখন তৃতীয় মেয়াদে জামিন আবেদন করেন তখন তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং তার পক্ষ থেকে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার জামিনের আবেদনে বলেছিলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে যেতে চান। কিন্তু সরকার তাকে ছয় মাসের যে জামিন দিয়েছেন তাতে তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বরং পুরনো শর্ত অর্থাৎ বাসায় থেকে চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর বেগম খালেদা জিয়া বাসাতেই অবস্থান করছেন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে তিনি নেই।

ধারণা করা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে চান। লন্ডনে গিয়ে তিনি তার পুত্র, পুত্রবধূ এবং পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাতে চান। আর এ কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার এই অসুখের নাটক সাজানো হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ হওয়ার পর দেখা গেছে যে, তার কোনো উপসর্গ নেই। তার দ্বিতীয়বার পরীক্ষাতেও পজিটিভ এসেছে। যেটা চিকিৎসকরা মনে করেন থাকতেই পারে। ২১ দিন বা অনেকের এক মাস, দেড় মাস পর্যন্ত করোনা পজিটিভ থাকে। কিন্তু সেটি আসলে ফল্স পজিটিভ বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। এর পাশাপাশি খালেদা জিয়ার অন্যান্য শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরাই দাবি করেছে।

তাহলে প্রশ্ন উঠেছে তারপরও বেগম খালেদা জিয়াকে কেন এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। শুধু ভর্তিই করা হয় নি এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার জন্য ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আর এর প্রক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছে যে, একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা করা হচ্ছে তার আসল কারণ কি। যদি তার শারীরিকভাবে কোনো অসুখ না থাকে, তার যদি হার্টের কোনো সমস্যা না থাকে, ডায়াবেটিসের যদি কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে কেন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই উত্তর দিতে গিয়ে কোনো কোনো মহল বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে আসলে বিদেশে নিয়ে যেতে চায় তার পরিবারের সদস্যরা। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই অসুখের সাজানো নাটক তৈরি করা হয়েছে। এখন যদি এভারকেয়ার হাসপাতালের ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসা করে সুপারিশ করে যে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে হবে, সেক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হতে পারে বলে তারা মনে করছেন। তারা এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড একটি রিপোর্ট দেবে এবং অনেকেই মনে করছেন যে, এই মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টটি হবে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার অনুকূলে।

অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়াকে যেনো বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় সেটি হলো মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় এবং মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট নিয়েই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করবে যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন। এটিকে মানবিক একটি অবয়ব দেওয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে দুই দফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন যদি বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাবার অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে বিষয়টা রাজনৈতিক মাঠে একটি অমানবিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হবে। আর এ কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার একটি অসুখের নাটক সাজানো হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন।