ব্রেকিং:
ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাছ চাষ প্রকল্পে ধান, লাভবান কৃষক

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০১৯  

কুমিল্লার দাউদকান্দির অধিকাংশ গ্রামে মাছ চাষ প্রকল্পের প্লাবন ভূমিতে বিষমুক্ত ধান চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। এতে মাছ চাষ লাভের পাশাপাশি নিজের শ্রম ও কম খরচে ধান চাষের সাফল্যে খুশি তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দাউদকান্দি উপজেলা কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় চলতি বছর সাত হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ও ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউপির প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ প্রকল্পগুলোতে কম খরচে ধানের চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশি।

উপজেলার সিংগুলা গ্রামের কৃষক ওবায়দুল হক বলেন, ১৯৯৫ সালের আগে প্লাবন ভূমির মাঠগুলোতে বাঙ্গি, তরমুজ, ক্ষীরা, শসা, আমন ধান, পাট, গম, তিল, ঢ্যাঁড়স, টমেটো, পুঁইশাক ও মিষ্টিকুমড়ার চাষ করতাম। পরে কৃষকরা বছরের খোরাক নিশ্চিত করতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বোরো ধানের চাষে ঝুঁকে পড়েন। তবে পরিবারের সদস্যরা অন্য কাজের পাশাপাশি ধান চাষে সহযোগিতা করলে নিশ্চিত লাভবান হওয়া যায়। বছরে ছয় মাস মাছ চাষ ও ছয়মাস ফসল উৎপাদন হচ্ছে।

দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক মো. আলম বলেন, উপজেলার মৎস্য চাষ প্রকল্পে ৪০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। ২২ মণ ধান পেয়েছি। প্রতি মণ ধান ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করলে ১১ হাজার টাকা পাব। তবে এই ধান বিক্রি করব না।

তিনি বলেন, বিষমুক্ত ধানের আবাদ করে খুশি। তিন সদস্যের পরিবারের সারা বছরের ভাতের জন্য ভাবতে হবে না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পরিশ্রম করে ধান চাষ করে লাভবান হয়েছি। এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে।

বেকিনগর গ্রামের কৃষক শাহজাহান বলেন, ৯০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। প্রতি ৩০ শতাংশে ফলন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ মণ। খরচ হয়েছে চার হাজার টাকা। প্রতি মণ ধান ৫০০ টাকা হিসেবে ধরলে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বিষমুক্ত ধান পেয়েছি। এতে পরিবারের ভাতের জোগান নিয়ে ভাবতে হবে না।

উপজেলার আদমপুর গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, তিন একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। পরিবারের সদস্যদের শ্রমে প্রতি ৩০ শতাংশে খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা। প্রতি ৩০ শতাংশে ফলন হয়েছে ১৮ মণ। চলতি বছর শিলাবৃষ্টি ও পোকার আক্রমণের পরও ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এতে অনেক খুশি আমি।

বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক বন্ধু খ্যাত অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, দাউদকান্দিতে বিষমুক্ত ধান উৎপাদন করেছি। বুদ্ধি খাটিয়ে কষ্ট করে মুনাফা অর্জন করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সারোয়ার জামান বলেন, বোরো ধান চাষে কৃষক সচেতন হলে কম খরচে বিষমুক্ত অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।