ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রণদা প্রসাদের ১২২তম জন্মজয়ন্তী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার আজ ১২২তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে কুমুদিনী কল্যাণে সংস্থা, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও ভারতেশ্বরী হোমস নানা কর্মসূচী পালন করছে।

কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে প্রার্থনা, আলোচনা সভা, কুমুদিনী হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং ভারতেশ্বরী হোমসে ছাত্রীদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে।

এছাড়া কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড নানা রঙে সাজিয়ে সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জলন করবেন।জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে কুমুদিনী ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর রণদা প্রসাদ সাহা ঢাকার অদূরে সাভারের কাছুর গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লৌহজং নদী বিধৌত মির্জাপুর গ্রামে। বাবার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা। মায়ের নাম কুমুদিনী সাহা।

তিনি অতিদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র সাত বছর বয়সে তার মায়ের মৃত্যুর পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎমায়ের অবহেলার কারণে তিনি ১৪ বছর বয়সে কলকাতায় পাড়ি জমান। সেখানে বাদাম বিক্রিসহ অনেক কাজ করতে হয় তাকে।

ভাগ্রক্রমে তিনি সেনাবাহিনীর বেঙ্গল কোরে যোগ দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইরাকে যান। সেখানে তিনি এক অগ্নিকাণ্ড থেকে হাসপাতালের রোগীদের রক্ষা করেন। পরে পঞ্চম জর্জের সঙ্গে ইংল্যান্ডে দেখা করে কমিশনপ্রাপ্ত হন। কিছুদিন পর চাকরি বাদ দিয়ে রেলওয়েতে টিটিইর চাকরি নেন।

এর কিছুদিন পর সেখান থেকে ইস্তফা দিয়ে কয়লা ও পাটের ব্যবসা করে বেশ লাভবান হন। এরপর তিনি জাহাজের ব্যবসা শুরু করেন। এতে তার ভাগ্য আরো সুপ্রসন্ন হতে থাকে। তিনি তার কষ্টে উপার্জিত সম্পদ শুধু নিজের ভোগ-বিলাসে ব্যয় না করে আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করেছেন।

এক্ষেত্রে প্রথমে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করা মায়ের নামে ১৯৩৮ সালে মির্জাপুরে কুমুদিনী ডিসপেন্সারি চালু করেন। যা ১৯৪৪ সালে হাসপাতালে রূপ নেয়। পরবর্তীতে তিনি নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

নারীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ এবং গ্রামবাংলার হতদরিদ্র ছাত্রদের জন্য মানিকগঞ্জে বাবার নামে দেবেন্দ্র কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি মির্জাপুর কলেজ ও মির্জাপুর এসকে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

কিন্তু এই মানবপ্রেমিককে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা রেহাই দেয়নি। ৭ মে নারায়নগঞ্জের বাসা থেকে তাকে ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।