ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

হাঁসে হাসি-খুশির সংসার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০১৯  

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর কলেজপাড়ার আশরাফ হোসেন। যার সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। হঠাৎ একদিন টিভির পর্দায় এক বেকার যুবকের সফলতা দেখে তিনি হাঁস পালন শুরু করেন। এ হাঁস পালনেই এখন তার অভাব দূর হয়েছে।
আশরাফ আলী বলেন, সাইদুর ও রাকিব নামে দুই ছেলে রয়েছে। তারা মাধ্যমিকে লেখাপড়া করে। আর মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে দিয়েছি। প্রায় ৩০ বছর ধরে মালামালের বস্তা গাড়িতে ওঠা-নামার কাজ করে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ায় বোঝা বহনের কাজ করতে খুব কষ্ট হতো। তাই সব সময় পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবতাম। টেলিভিশনে একদিন এক হাঁস খামারির সফলতার গল্প শুনে উৎসাহিত হই। পরে নিজেই হাঁসের খামার করি। প্রতিদিন যে ডিম পাচ্ছি তা বিক্রি করে সংসার চালাই।

তিনি আরো বলেন, আমার বসতবাড়ির পাশেই রয়েছে নিচু জমির ঝিল। সেখানে কোনো ফসলই ভালো হয় না। তবে হাঁস ঘুরে বেড়ানোর মত উপযুক্ত স্থান। এটা মাথায় রেখেই জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের প্রতি বছর বিঘা প্রতি সাত হাজার টাকার চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য ৮ বিঘা জমি বর্গা নেই। এরপর  প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাসা বাড়ির সামনে বাঁশের মাচা এবং গোলপাতার ছাউনির দুটি লম্বা ঘর নির্মাণ করি। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে ১০০ টাকা দরে ৩শ বেলজিয়াম জাতের হাঁসের বাচ্চা কিনি।

তিনি বলেন, এর আড়াই মাস পর পাবনার চাটমোহল হ্যাচারি থেকে ৩০ টাকা দরে আরো ৪শ খাকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁসের বাচ্চা কিনি। বিভিন্ন সময়ে রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক হাঁস মারা গেছে। বর্তমানে হাঁসগুলো ডিম দিচ্ছে। প্রতিদিন সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ডিম পাচ্ছি।

আশরাফ আরো বলেন, এখন আমার ছোট-বড় মিলে প্রায় ৯শ’ হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন খাবার বাবদ ১ হাজার আর ওষুধ বাবদ ২শ’ টাকা খরচ হচ্ছে। ডিম পাচ্ছি সাড়ে তিনশ বা চারশ। বাজারে প্রতি ডিম ১০ টাকায় বিক্রি করি। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ডিম বিক্রি করেছি কমপক্ষে ১২ লাখ টাকার।

আশরাফের স্ত্রী নারগিছ বেগম বলেন, হাঁস বর্ষা মৌসুমে একটু বেশি জায়গা নোংরা করে। আর রোগে যখন মারা যায় তখন মন কাঁদে। তাছাড়া হাঁস পালন করা কঠিন কোনো কাজ নয়। মনের একটা সখও পূরণ করা যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুজ্জামান বলেন, আশরাফের হাঁসের খামার পরিদর্শন করেছি। তিনি খুব পরিশ্রমী ও আশাবাদী। আশরাফ যখন আমার কাছে আসেন সাধ্যমতো তার সমস্যা সমধানের চেষ্টা করি।