ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় স্বস্তি ফিরছে জনমনে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে বিএনপির সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর পদত্যাগ তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর ঢাবির হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

চাঁদপুরে ইলিশ আহরণে নদীতে নামছে জেলেরা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩  

৩০ এপ্রিল রাত ১২টার পর থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। জেলেরা নামছে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করতে।

তাই এখন থেকেই জেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার ১৯০ জন জেলে পরিবারে চলছে মাছ আহরণের প্রস্তুতি। নৌকা ও জাল মেরামত এবং নতুন করে জাল তৈরী করতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। সদর উপজেলার জেলে পাড়াগুলো ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। এই সময় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও সরবরাহ আইনত দ-নীয়।

এ কারণে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুই মাস পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা টাস্কফোর্স। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলে ইলিশের পোনা জাটকা নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেন। জনবল সংকট হওয়ার কারণে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শতভাগ সফল করা সম্ভব হয় না প্রশাসনের।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া গ্রামের নদী পাড় জেলে পাড়াগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেদের জাল ও নৌকা মেরামত করার কাজে ব্যস্ততা।

রামদাসদী গ্রামের জেলে হাসান বেপারী জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময়ে তারা নদীতে মাছ আহরণ করেন না। সরকার যেটুকু সহযোগিতা করেন তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ আহরণে নামবেন তারা। সেজন্য জাল ও নৌকা প্রস্তুত করছেন।

একই এলাকার জেলে আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা তারা মানলেও এক শ্রেণির জেলে তা না মেনে জাটকা নিধন করেন। আর এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে নৌ-পুলিশ। এজন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ধরনের অভিযান কিংবা জাটকা রক্ষা কর্মসূচি দিয়ে কি লাভ হবে- এমন মন্তব্য জেলে আনোয়ার হোসেনের।

জেলে শাহজাহান গাজী জানান, দুই মাস তারা মাছ আহরণ করেন না। সরকার এই সময়ের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে যে চাল দেন, সেটা তারা পেয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের পেশা জেলে হওয়ার কারণে এই সময়ে অন্য কোন কাজে যোগ দেন না। ১ মে থেকে মাছ আহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদি আল্লাহর ইচ্ছা থাকে তাহলে ইলিশ পাবেন এমন আশা-আকাক্সক্ষা তাদের। তবে জাটকা নিধনের কারণে ইলিশ উৎপাদন কমে যায় এমন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জেলে শাহাজাহান।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাসুদুল হাসান জানান, চাঁদপুরে জাটকা রক্ষা কর্মসূচিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিছুসংখ্যক জেলে নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই নদীতে মাছ আহরণ করেছে। এছাড়া তালিকাভূক্ত জেলে ছাড়াও সব জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সাথে সাথে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।