ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় স্বস্তি ফিরছে জনমনে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে বিএনপির সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর পদত্যাগ তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর ঢাবির হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

দ্বিতীয় ধাপেও স্বজনদের দাপট: ভোটার উপস্থিতিই বড় চ্যালেঞ্জ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৪  

দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের মতো দ্বিতীয় ধাপেও আলোচনায় আছেন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মনোনয়ন। এ ধাপের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান পদে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন রয়েছেন ১৭ জন। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট অক্ষুণ্ণ রয়েছে। তাই এ নির্বাচন নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়েও চ্যালেঞ্জে রয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশন বলছে, চলমান উপজেলা নির্বাচনে ভোট কম পড়ার বড় কারণ হলো বিএনপির ভোট বর্জন। তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন না। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির কম হওয়ার কারণ শুধু বিএনপির ভোট বর্জনই নয়। মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবও এই নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩ জন সংসদ সদস্যদের আত্মীয়স্বজন অংশ নিয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় ধাপে সেটি বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তাই ভোটাররা ভোট দিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তবে প্রথম ধাপের নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড হওয়ায় এবার উপস্থিতি বাড়াতে দৌড়ঝাঁপ করছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরাও ভোটারদের মন জয় করতে নানামুখী কৌশল গ্রহণ করছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে ইভিএমে ভোটের হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। এছাড়া ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে। 

এদিকে দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে ৭১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের বহিষ্কারের পরও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনেও বিএনপির ৮০ জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন বিজয়ী হয়েছেন। এবারও বিভিন্ন উপজেলায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ বিজয়ী হবেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রত্যাশা করছেন।

এদিকে ভোট গ্রহণকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ইসির পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের সতর্ক করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে মন্ত্রী-এমপিরা কারও পক্ষে কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইসি জানিয়েছে। এ ছাড়াও কোনো প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষের লোকেরা বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর হাতে দমনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় বিভিন্ন পদে মোট এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থায় নিয়েছেন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য মাঠে রয়েছে প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।