ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় স্বস্তি ফিরছে জনমনে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে বিএনপির সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর পদত্যাগ তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর ঢাবির হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

ফেনীতে জুমার পর সাঈদীর জন্য দোয়া চাওয়ায় খতিবকে মারধর, অব্যাহতি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৩  

ফেনী সদর উপজেলার ফকিরহাট মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সলিমুল্লাহ আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া চান। পরে কয়েকজন যুবক তাঁকে থামিয়ে দিয়ে মারধর করেন এবং তাঁকে মসজিদের খতিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

ফকিরহাট বাজার জামে মসজিদের মুসল্লি আবদুল ওহাব জানান, জুমার নামাজ শেষে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ইসলামে বিশেষ অবদানের কারণে সাঈদীসহ অন্যান্য আলেম-ওলামার জন্য দোয়া করতে বলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুক্কুর মানিকের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ইমামকে থামিয়ে মেহরাব থেকে ঘাড় ধরে বাইরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর মাথায় থাকা পাগড়ি ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। 

মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে বিস্তারিত পরে জানাবেন বলে জানান। 

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, ইমাম সাহেব একজন দেশদ্রোহীর জন্য দোয়া করায় উপস্থিত মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি সকলের কাছে মাফ চাইলে তাঁকে রেহাই দেওয়া হয়। তবে তাঁকে মসজিদের খতিব পদ থেকে সম্মানের সঙ্গে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুক্কুর মানিক বলেন, ‘বিতর্কিত একজন ব্যক্তির জন্য দোয়া চাইলে মুসল্লিরা ক্ষেপে যান। তখন আমি তাঁকে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেছি।’ তবে মারধরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। 

মাওলানা মো. সলিমুল্লাহ বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি, তিনি ন্যায় বিচার করবেন।’ সাঈদীসহ অন্যান্য আলেমদের জন্য দোয়া চাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। 

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।