ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় স্বস্তি ফিরছে জনমনে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে বিএনপির সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর পদত্যাগ তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর ঢাবির হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

বর্ষা কিংবা ঘূর্ণিঝড় আসলেই ধস নামে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৪  

বর্ষা কিংবা ঘূর্ণিঝড় আসলেই ধস নামে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে। এবারও রিমালের আঘাতে একই চিত্র। ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে চাঁদপুরের পুরান বাজার হরিসভা মন্দির এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ২০ মিটার মেঘনা নদীতে দেবে গেছে। দিনভর টানা বৃষ্টিপাত ও মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে বাঁধে ভাঙন ধরে। তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও খুব একটা লাভ হয় নি।

পুরান বাজার মেঘনা নদীর তীর এলাকায় ঢেউয়ের তীব্রতা বাড়ছেই। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কয়েক ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। ভাঙন আতঙ্কে নদীর তীরের অনেক লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় খুঁজছেন। স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

চাঁদপুরের পুরানবাজার ও নতুন বাজার এলাকর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাঁচিয়ে রেখেছে, এই শহর রক্ষা বাঁধ। কিন্তু, বর্ষা বা ঘূর্ণিঝড়- সবসময়ই এই বাঁধ থাকে হুমকির মুখে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বাঁধের বেশকটি স্পটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পুরানবাজারেরই ৮টি স্থানে ১৬৫ মিটার ব্লক দেবে গেছে। অনেকের বাড়ির মালামালও চলে গেছে নদীগর্ভে।

ভারি বর্ষণ ও উত্তাল জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীপাড়ের ঘর-বাড়ি, মন্দির, রাস্তা-ঘাট। স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে গৃহ-পালিত প্রাণীসহ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র। স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক বছরেও এমন দূর্যোগ পরিস্থিতি তারা দেখেননি। ভাঙনের সময় রাতে বাড়িতে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছিলো।  এরইমধ্যে অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। ভাঙন দেখা দিলে কর্মকর্তারা আসেন নদীতে বালুর বস্তা ফেলতে। কিন্তু আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই। 

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, রিমালের কারণে মেঘনার পানি মারাত্নকভাবে ফুলে উঠেছিলো। প্রায় ৫-৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ঢেউ শহর প্রতিরক্ষা বাঁধে তাণ্ডব চালিয়েছে যার কারণে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রস্তুতি অনুযায়ী আমরা গতকাল রাত থেকে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলোতে আমাদের মজুদ রাখা জিও ব্যাগ ফেলেছি। খুব শিঘ্রই মেরামত কাজ শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যেই ৮২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজের শুরু হয়েছে। যেটি ২০২৭ সালের জুন মাসের মেয়াদে শেষ করা হবে। এই প্রকল্পে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার সর্বনাশা ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যেই ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছেন। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।