ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় স্বস্তি ফিরছে জনমনে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ঘেরাও-অগ্নিসংযোগ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে বিএনপির সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর পদত্যাগ তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর ঢাবির হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
  • ||

  • ||

ভারতে দুর্বল সরকার, আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয়ই খুশী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৪  

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে। এক্সিট পোলে যেমনটি মনে করা হয়েছিল যে, নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এবং নিশ্চিতভাবেই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাস্তবে তেমনটি ঘটেনি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে তাতে বিজেপি হয়তো দলগতভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিন্তু হয়তো এককভাবে ২৭২ এর ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না। তাকে এনডিএ জোটের অন্যান্য শরিকদের সহায়তায় সরকার গঠন করতে হবে। ফলে গতবারের মতো এবার বিজেপি একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করতে পারবে না। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ একক সিদ্ধান্ত সব ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত হবে এমন গ্যারান্টি দেয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে শরিকদের চাপ এবং আবদার মানতে হবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। 

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যেখানে এরকম ঝুলন্ত সরকার হয়েছে, নাজুক সরকার গঠিত হয়েছে, দুর্বল সরকার গঠিত হয়েছে সেখানেই মেয়াদপূর্ণ করতে পারেনি বরং মধ্যবর্তী নির্বাচন অবধারিতভাবে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর ভবিষ্যত কি হবে সেটার জন্য আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ভারতে যে একটি দুর্বল সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে সেটি নিশ্চিত। এ ধরনের দুর্বল সরকার গঠিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের ভাবনা কি তা নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলা হয়েছিল। 

এসমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এখনো ভোটের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন। তারা মনে করছেন, ভারতে একটি দুর্বল সরকার গঠিত হওয়া বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। আওয়ামী লীগ এ ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চায় অখুশী নয়। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এর ফলে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক লাভ হবে। বাংলাদেশ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সহ অন্যান্য দাবিগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আরও সহজ সংলাপ করতে পারবে। ভারত তার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকবে ফলে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা পাবে না বলেও মনে করছেন আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতারা। তাছাড়া এ ধরনের সরকার যখন গঠিত হবে তখন বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানে এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত আরও বেশি মনোযোগী হবে এবং আরও ছাড়া দেবে বলেই মনে করে আওয়ামী লীগ। 

অন্যদিকে বিএনপিও মনে করে, ভারতে দুর্বল সরকার তাদের জন্য ইতিবাচক। বিশেষ করে বিজেপির যে বিএনপি নীতি তা সম্পূর্ণভাবে বিএনপির জন্য বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকরও বটে। আর এ কারণেই বিএনপি সবসময় চেয়েছিল বিজেপি সরকার যেনো ক্ষমতায় না যেতে পারে এবং দুর্বল হয়। শেষ পর্যন্ত দুর্বল হওয়ার প্রেক্ষিতে বিএনপি মনে করে, এতে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ কমিয়ে আনবে। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে ভারতের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যে ভিন্নমত আছে সেটিকে তারা শ্রদ্ধা করবে এবং সেটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশে একক একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থনের যে নীতি বিজেপি গ্রহণ করেছিল সেই নীতিতে তাদেরকে সমঝোতা করতেই হবে। 

বিএনপি এটিও মনে করে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত আরও মনোযোগী হবে এবং বহু দলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করবে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারত ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে তাদের মাথা ঘামানো কমে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ওপর ভারতীয় নজরদারি অনেক কমবে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। 

সব কিছু মিলিয়ে ভারতের নির্বাচন এবং সেখানকার ঘটনা প্রবাহ, সেখানকার নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে সবগুলো রাজনৈতিক দল। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে না। 

উল্লেখ্য, আগামী ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য ভারত সফরের কথা রয়েছে। ভারতের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় নির্বাচনের এই টাল মাটাল পরিস্থিতিতে সেই সফর কোন দিকে যায়।