ব্রেকিং:
সুপারি বাগানে মিলল অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ শ্রমিক লীগ নেতাকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেল তরুণী কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেফতার ৪ খালেদার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে কোনো আবেদন আসেনি: আইনমন্ত্রী নোয়াখালীতে যুবককে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা শ্রমিক লীগ নেতাকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন নারী চাকরির শেষ দিনে ফুলসজ্জিত গাড়িতে বাড়ি ফিরলেন শিক্ষক এবার কুমিল্লায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা ফয়জুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর বর্ষপূর্তি উদযাপন রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর চার প্রস্তাব পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা রোধে হটলাইন নম্বর চালু চাঁদপুরে ইলিশ উৎসবের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করছেন তানিয়া ইশতিয়াক খান নারায়নপুর পৌরসভা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল চাঁদপুর সদরে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে শিক্ষা অফিসার লক্ষীপুর ইউপিতে সিভিআরপি প্রকল্পের ঘর উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ মতলব উত্তরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মতলব মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম ঝুলন্ত সেতু জনসেবায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান চাঁদপুরে মেঘনা ট্রেনে ডেঙ্গুর আক্রমন আতংক!
  • শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩০

  • || ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

রিজিক কমে যাওয়ার কারণসমূহ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩  

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি বলো! নিশ্চয় আমার রব যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন আর যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সংকুচিত করে দেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না’। (সূরা: সাবা, আয়াত: ৩৬)

পবিত্র কোরআনুল কারিমের উপরোক্ত আয়াত থেকে জানা গেলো যে- আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রিজিক সম্প্রসারিত ও সংকুচিত করে থাকেন।

তবে বেশ কিছু কাজে মানুষের রিজিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থাৎ রিজিকে বারাকাহ কমে যায়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-

> পাপকাজে লিপ্ত হওয়া: যেসব কাজে মানুষের রিজিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; তার মধ্যে অন্যতম হলো গুনাহ বা পাপাচারে লিপ্ত থাকা। সাওবান (রা.) এর বিবরণে আছে যে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সৎকর্ম মানুষের আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে এবং দোয়া মানুষের তাকদির রদ (পরিবর্তন) করতে পারে। আর মানুষ তার পাপ কাজের কারণে প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,০২২)

> কৃতজ্ঞতা আদায় না করা: মানুষ যখন প্রাপ্ত নিয়ামতের শোকরিয়া আদায় করে না, তখন তার থেকে সে নিয়ামত ছিনিয়ে নেওয়া হয় আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানবজীবন এবং কমে যায় রিজিক। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে মনে রেখো, আমার শাস্তি বড়ই কঠোর’। (সূরা: ইব্রাহিম, আয়াত: ৭)

> মিথ্যা কসম খাওয়া ও ধোঁকা দেওয়া: মিথ্যা কসম খাওয়া এবং মানুষকে ধোঁকা দিলে আয়-উপার্জনের বরকত চলে যায়। আর বরকত চলে যাওয়া মানে রিজিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বেচাকেনা করার সময় তোমরা অধিক কসম করা থেকে সাবধান থেকো। কারণ, মিথ্যা কসমের দ্বারা বিক্রি বেশি হয়, কিন্তু বরকত ধ্বংস হয়ে যায়’। (মুসলিম, হাদিস: ১,৬০৭)

রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘ক্রেতা ও বিক্রেতা যতক্ষণ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করা কিংবা বাতিল করার সুযোগ রয়েছে। যদি তারা সত্য বলে এবং পণ্যের প্রকৃত অবস্থা ব্যক্ত করে, তাহলে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে। আর যদি মিথ্যা বলে এবং পণ্যের দোষ গোপন করে, তাহলে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত ধ্বংস হয়ে যাবে’। (বুখারি, হাদিস: ২,০৭৯)

> সুদের কারবার করা: সুদের মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধি হয়, আপাতদৃষ্টে এমনটা মনে হলেও সুদের কারবারের দ্বারা ব্যবসার বরকত নষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করে দেন এবং সাদাকাকে বর্ধিত করে দেন’। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৭৬)

> জাকাত না দেওয়া: জাকাত ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ বা মৌলিক বিধান। জাকাতের বিধান প্রণয়ন করে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে ভারসাম্য ঠিক রেখেছে ইসলাম। সঠিকভাবে জাকাতের বিধান আদায় না করলে রিজিকের বরকত উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং এতে রিজিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো জাতি জাকাত আদায় করা বন্ধ করে দেয়; আসমান থেকে তখন বৃষ্টিবর্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পৃথিবীর বুকে যদি কোনো চতুষ্পদ জন্তু না থাকত, তাহলে আর কখনো বৃষ্টি হতো না’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪,০১৯)

> হারাম উপার্জন: হারাম উপার্জনে রিজিকের বরকত কমা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানবজাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করো’। (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৬৮) স্রষ্টার ঐশী নির্দেশ অমান্য করে হারাম উপায়ে উপার্জন করলে রিজিকে বরকত কমে যায়।

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল ও বৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন করে, তাকে বরকত দান করা হয়। আর যে ব্যক্তি হারাম ও অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করে, সে এমন ব্যক্তির মতো—আহার করেও তৃপ্ত হয় না (অর্থাৎ সে যতই ভক্ষণ করুক না কেন; তার ক্ষুধা নিবারণ হয় না)’। (মুসলিম, হাদিস: ১,০৫২)