ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অজানাকে জানিয়ে দেয় রাবির রহস্যময় জাদুঘর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০  

পেখম মেলা রঙিন পাখার ময়ূর, সামনেই ফণা তোলা পেঁচানো এক বিষধর সাপ, তার পাশেই বিশাল দেহের কুমির। পাশাপাশি রয়েছে সিংহ, নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, কোরালের সঙ্গে শঙ্খ, ঝিনুক, শামুখের চোখ ধাঁধানো সব প্রাণির সমাহার। বলা হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রহস্যময় জাদুঘরের কথা।  

যেখানে দেখা মিলবে হারিয়ে যাওয়া জীববৈচিত্র। মনে হবে এ যেন বিচিত্রময় প্রাণির রহস্যপুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক বিশাল কক্ষজুড়ে এই জাদুঘর। ১৯৭২ সালে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমানের উদ্যোগে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তার নামেই ‘অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান মেমোরিরাল মিউজিয়াম’।

এ জাদুঘরে দেখা মিলবে পরিফেরা পর্ব থেকে কর্ডাটা পর্যন্ত প্রায় ৪৪২ প্রজাতির প্রাণিসহ এক হাজার ৫৪৩টি প্রাণির প্রক্রিয়াজাত দেহ। পাশাপাশি ১৪২টি ফসিলও রয়েছে এ জাদুঘরে। যা বর্তমানে দুর্লভ। সরীসৃপ, পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণির পাশাপাশি রয়েছে নানা জাতের সামুদ্রিক মাছ, বিরল প্রজাতির জীবন্ত ফসিল, পেট্রোমাইজন ও মেক্রিনসহ ১৯ প্রজাতির ৩৩টি কোরাল এবং ৪৫ প্রকার মলাস্কার সেল।

শুধু বন্য ও গৃহপালিত পশু নয়, দুটি মানবকঙ্কালও রয়েছে এখানে। একটি পুরুষের, আরেকটি নারীর। আরো আছে হাতি, ঘোড়া, কুমিরের কঙ্কাল, শুশুক ও ডলফিনের মমি। 

ছোটো ছোটো কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে সজারু, বনরুই, বিভিন্ন প্রজাতির বিড়াল, মাছরাঙা, মিঠাপানির মাছ, সামুদ্রিক মাছ, কোরাল (প্রবাল) এমনকি মানবভ্রুণও রয়েছে। আরো আছে মলাস্কা, পরিফেরা, নিডারিয়া, কর্ডাটা, আর্থ্রোপোডা, নেমাটোডাসহ প্রায় সব পর্বের বিচিত্র সব প্রাণি। এগুলোর মধ্যে অনেক প্রাণি অবলুপ্ত হয়েছে। শুধু বাংলাদেশেরই নয়, দেশের বাইরে থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে কিছু দুর্লভ প্রাণি।

এসব প্রাণিকে খুব সযত্নেই সংরক্ষণ করা হয়েছে জাদুঘরে। এখানে কিছু প্রাণিকে শুকনো অবস্থায় মমি করে আবার কোনোটিকে ফরমালিনে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। স্বচ্ছ কাঁচের বাক্স ও জারে সারিভাবে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে তাদের। জাদুঘরের দেয়ালে ফ্রেমে বাঁধা রয়েছে বিভাগের শিক্ষকের তোলা বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ছবি। এছাড়াও শুধু রাজশাহী নগর ও সংলগ্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৯৬ প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে।

সমৃদ্ধ এই জাদুঘরটি রয়ে গেছে লোক চক্ষুর অন্তরালে। জাদুঘরটি সম্পর্কে দেশের অনেক গবেষকই জানেন না। শুধু তাই নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছেও এটি রয়েছে অজানা।
 
শুক্র ও শনিবার ছাড়া বাকি পাঁচদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ জাদুঘর। এর মাঝে দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিরতি থাকে। জাদুঘরটি সব দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ঐতিহ্য রয়েছে, এরমধ্যে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মিউজিয়াম অন্যতম। এত চমৎকার একটি মিউজিয়াম যা দেশের অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। প্রাণিজগতের এক বিশাল সম্ভার এখানে। রাজশাহী ও রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী প্রাণিজগত ও প্রাণি সম্পর্কে জানা ও দেখার জন্য এখানে আসে। প্রাণিবিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য এই মিউজিয়ামটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।