অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে লাখপতি!
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
কামরুন নাহার মিমির জন্ম ও বেড়ে ওঠা কুমিল্লার দেবিদ্বারে। মিমি বর্তমানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। কৃষক বাবার বড় মেয়ে তিনি। বড় ভাই না থাকাতে একমাত্র আয়ের মানুষ মিমির বাবাই।
ছোট বেলা থেকেই আত্ববিশ্বাসী মিমি শুধুই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছিল। ২০১৬ সালে মিমি কুমিল্লায় আসেন পড়াশোনার জন্য। কুমিল্লায় এসেই শুরু করেন প্রাইভেট পড়ানো। টিউশনের টাকাতেই চলতো তার পড়াশোনা। এভাবেই মিমি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে।
হঠাৎ বন্ধুদের মাধ্যমে যুক্ত হয় উই নামক উই-কমার্স প্লেট ফর্ম। এর পরেই আসে উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা। কর্মজীবন শুরু করার লক্ষ্যে এপ্রিলে কুমিল্লার খাদি থ্রি পিস ও পাঞ্জাবি নিয়ে শুরু ই-কমার্স উদ্যোগ ‘পল্লীর হাঁট’।
প্রাচীনকাল থেকেই এই উপমহাদেশে হস্তচালিত তাঁত শিল্প ছিল বিখ্যাত। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সবসময় এই তাঁতের কাপড় বিদেশেও রফতানি হতো। কুমিল্লার খাদি কাপড়ের কদর আজো বিশ্বজুড়ে।
মিমি উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে এই চিন্তা গুলোই কাজ করছিল। শূন্য থেকে মিমি কিভাবে লাখপতি হলেন তা জানতে এবং ডেইলি বাংলাদেশ পাঠককে জানাতে কথা হয় তার সঙ্গে।
উদ্যোক্তার আগ্রহ কিভাবে তৈরি হলো?
মিমি বলেন, সব সময়ই ইচ্ছা ছিলো নিজের জন্য নিজেই কিছু করবো। আমার বন্ধু কারিমা আক্তার রুমি আমাকে এই পথ দেখায়। সে আমাকে একটা ফেইসবুক গ্রুপে জয়েন্ট করায়। গ্রুপটাতে অনেক উদ্যোক্তা দেখি। আমার ধীরে ধীরে খাদি নিয়ে কাজ করার চিন্তা আসে। পরে আমার ছোট চাচার সঙ্গে এই বিষয়টা শেয়ার করি। চাচা আমাকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করেন। পরে চাচাই আমাকে তাঁতি বাড়িতে নিয়ে যান।
প্রথমে পাঞ্জাবি আর থ্রি-পিস নিয়ে কাজ শুরু করি। এরপর শাড়ি ও বিভিন্ন পণ্য যুক্ত করি। এভাবেই আমার শুরু। ই-কমার্স করার জন্য নির্দিষ্ট সময় ও অফিসের প্রয়োজন নেই। সবদিক থেকেই ই-কমার্স পেশা আমার স্বপ্ন থেকে সত্যিতে পরিণত হয়।
আপনার চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবিলা করেছেন?
মিমির বলেন, উদ্যোক্তা জীবন মানেই চ্যালেঞ্জে ভরপুর আর নারী হলেতো কথাই নেই। কিন্তু আমার বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেননা আমাকে পরিবার থেকে সাপোর্ট দিয়েছে। তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়নি। এসব ক্ষেত্রে বেশি সাপোর্ট পেয়েছি ছোট চাচা মো. সোহেলের কাছ থেকে।
ঝামেলায় পড়েছি প্রোডাক্ট পাঠানো নিয়ে। লকডাউনের মাঝে প্রতি সপ্তাহে ৩/৪ বার বাড়ি থেকে কুমিল্লা যেতে হতো শুধু কুরিয়ার করার জন্য। কারণ আশাপাশে কোনো কুরিয়ার ছিল না। যেহেতু শুরু থেকে প্রোডাক্ট প্যাকেজিং, কাস্টমার, ডেলিভারি সবকিছু একা ম্যানেজ করতে হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমার উদ্যোক্তা জীবন ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিলো। মূলত আমার কাজের প্রতি আন্তরিকতা আর ভালোবাসাই এসব চ্যালেঞ্জ জয় করতে সাহায্য করেছে।
উই থেকে প্রাপ্তি গুলো কি?
উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম। আমরা যারা দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করি তাদের জন্য উই ফেসবুক গ্রুপ একটা আত্মবিশ্বাসের জায়গা।
উইতে এসে মাত্র ৫ মাসে যে নাম ও সম্মান পেয়েছি তা আমাকে আরো পাঁচ বছর এগিয়ে নিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ব্যবসা গুটিয়ে বসে থাকাতে হতো সেখানে উইতে এক্টিভ থেকে লাখ টাকা সেল পেয়েছি।
আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
মিমি বলেন, ‘পল্লীর হাট’ নিয়ে আমার একটা লক্ষ্য আছে। নিজেই একটা শো-রুম করার চিন্তা আছে। তবে সেটা আরো সময় লাগবে। মূল কথা হলো কুমিল্লার খাদি নতুন ডিজাইনে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে চাই।
লাখপতি হওয়ার অনুভূতি কি?
মিমির উত্তর, সত্যিই লাখপতি হবো এমন আশায় এটা শুরু করিনি। উই গ্রুপ আর আমার বন্ধুদের সাহায্য ও আমার চাচার সাহায্যে এতটুকু এসেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় করেছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও যারা বেকার তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানাই।
- হিজড়াদের আবাসন সমস্যা সমাধানে জমি খোঁজা হচ্ছে : দীপু মনি
- অবন্তিকার আত্মহত্যা : সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী রিমান্ডে
- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফি, সম্পাদক পিয়াস
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন ব্যবসায়ীরা
- ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’
- খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার
- অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি মহিলা পরিষদের
- সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
- সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে স্পিকারের অভিনন্দন
- পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : দীপু মনি
- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইরিশ মন্ত্রীর বৈঠক
- বিআরটিসির ১৫ কর্মকর্তাসহ ৩৭ জনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
- ঢামেকের ইনজেকশন বিক্রি করে দিচ্ছিলেন ২ নার্স, হাতেনাতে ধরা
- রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপির বড় তহবিল গঠনে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- ইইউতে জিএসপি সুবিধা বাড়াতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর
- আখাউড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- মালবাহী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দিলেন কলেজছাত্রী
- বিনা টাকায় চাকরি পাওয়া মিহাদের গল্প
- মেয়াদোত্তীর্ণ পাউডারে সফট ড্রিংকস, কারখানা সিলগালা-জরিমানা
- বাইকের ইঞ্জিন-চেসিস নম্বর জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার
- গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত
- বিএনপির কাজই ষড়যন্ত্র করা: রেলমন্ত্রী
- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জন হাসপাতালে
- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের কাছে ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরেছেন পলক
- জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ উদ্ধারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি
- বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে বসতঘরে আগুন
- তাহসীন বাহার ও ফয়জুন্নেছা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ
- দেশে ফিরেও দেখা হলো না মায়ের মরদেহ, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
- রোজার আগেই ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ ঢুকবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, হাত-পা বেঁধে যুবকের ‘বিশেষ অঙ্গ’
- ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছেন মুশতাক
- বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে অংশ নিতে বাংলাদেশে কুয়েতের নাগরিক
- নির্বাচনী আইন ভেঙ্গে পিতা ও কন্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন
- ভারতকে চাপে রাখতে জামাতের সাথে প্রকাশ্য ঐক্য করবে বিএনপি?
- গার্ডেন থিয়েটার কুমিল্লার একক নাট্য প্রদর্শনী
- রমজানে যে সূচিতে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিকআপ-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- দুই শিশুকন্যাসহ বিষপান, প্রাণ গেল মায়ের
- বাজার স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ভোগ্যপণ্য বিক্রি
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- নাঙ্গলকোটে ইটের সাইজ ছোট হওয়ায় ১২লাখ টাকা জরিমানা
- কক্সবাজারে সুগন্ধা বিচ ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ নামে পরিবর্তন
- শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে জিতল ব্রাজিল
- সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে প্রতীকী ‘লাশের মিছিল’
- বাফটার মঞ্চে শাড়িতে নজর কাড়লেন দীপিকা
- ‘আমার মেয়ে ফোন দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলছিল, বাবা আমাকে বাঁচাও’