অনশনের ১৪৯ ঘন্টায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ২০ শিক্ষার্থী

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদত্যাগের দাবিতে অনশনের ১৪৯ ঘন্টায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন শিক্ষার্থী। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) অনশনের ১৪৯ ঘন্টায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে তাদেরকে ভর্তি করানো হয়। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমাদের অনশনরত ২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থা খুব গুরুতর। এছাড়া যারা অনশনরত অবস্থায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি হননি তাদের অবস্থাও তেমন ভালো না। দাবি যদি মেনে নেওয়া হয়, যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা অনশন ভাঙলেও পরিপূর্ণ সুস্থ হতে অন্তত এক মাস সময় লাগবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অনশনরত শিক্ষার্থীরা যারা হাসপাতালে আছেন তাদেরকে দ্রুত অনশন ভাঙাতে হবে। না হলে তাদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়বে।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রশাসনের নির্দেশে ক্যাম্পাসের ভিতরের ফুডকোর্ট ও টং গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় টংয়ের মামারা। যাতে আমরা যারা আন্দোলন করছি তারা খাবার খেতে না পারি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আজ সন্ধ্যায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে সমস্বরে অনুরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনকারীরা জানায়, 'যেদিন অনশনে বসেছি আমরা এই ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছি। এখন যদি অনশন ভাঙি তাহলে নিজেকে কি জবাব দেবো। অনশন করে যদি মারা যাই তাতে কোনো দুঃখ নেই। আমরা দীর্ঘ ১৪৮ ঘন্টা উপবাস করে আমরা ক্ষুধা তৃষ্ণা একদম ভুলে গিয়েছি। এই ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আশা করি অনশন চালিয়ে যেতে পারবো। আমরা আমাদের অনশন অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত আছি।' এসময় শিক্ষার্থীরা ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার শপথ গ্রহণ করেন।

জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ভিসি পদত্যাগের দাবিতে ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। পরবর্তীতে গণঅনশনে আরো পাঁচজন শিক্ষার্থী অংশ নেন। বাবা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পরদিন একজন শিক্ষার্থী বাসায় চলে যান। বর্তমানে ২৮ জন শিক্ষার্থী অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ জন হাসপাতালে আছেন। যারা একটু সুস্থ বোধ করেন তারা অনশনস্থলে ফিরে আসেন। অনশনের দ্বিতীয় দিন থেকে একের পর এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনেকের অবস্থা গুরুতর। ভিসির পদত্যাগ না হলে তারা এক ফোঁটা পানিও মুখে তুলবেন না বলে জানায়।