ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

অন্ধদের সহজ চলাচলে ব্লাইন্ড স্টিক আবিষ্কার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২০  

অন্ধ ব্যক্তিদের স্বাভাবিক চলাফেরার যাবতীয় সুবিধা সম্পন্ন আধুনিক ব্লাইন্ড স্টিক উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশি তরুণ তন্ময় রায়। তিনি সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। বিভাগীয় প্রজেক্টের অংশ হিসেবে প্রায় সাত মাসের প্রচেষ্টায় কাজটি করেন তিনি। 

তন্ময় রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ব্লাইন্ড স্টিকটির মধ্যে থাকা আল্ট্রা সনোমিটার ফিচারের মাধ্যমে চলার পথে যেকোনো বাধা অন্ধ ব্যক্তি সহজেই বুঝতে পারবে। তিনি হারিয়ে গেলে অবস্থান নির্ণয়ের জন্য রয়েছে জিপিএস ফিচার। স্টিককে আরও আপডেট করতে যুক্ত করা হয়েছে ওয়াটার সেন্সর, পালস সেন্সর ও ইমারজেন্সী বাটন ফিচার। ওয়াটার সেন্সরের মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তির নিকটে পানি থাকলে তা বুঝা যাবে। পালস রেট মাপা ও যেকোনো বিপদে কল বা বার্তার মাধ্যমে সাহায্যের জন্য কাজ করবে বাকি দুটি ফিচার। 

তিনি আরো জানান, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কাজ শুরু করা এই ডিভাইসটি তৈরিতে প্রায় ১৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হলে এক থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌছানো যাবে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এমন ডিভাইস তৈরী করলেন তন্ময়।

তন্ময় রায় বলেন, ‘অন্ধ ব্যক্তির জন্য কিছু করতে পেরেছি বলে আমি অত্যন্ত খুশি। অন্ধ ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা না। তাদেরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এই ডিভাইসটি সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও আলোর পথ দেখাবে।’

 পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছেন উক্ত বিভাগের সাবেক প্রধান ও প্রজেক্টের সুপারভাইজার ড. গোলাম আবু জাকারিয়া, বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ড. হাসিন অনুপমা আজহারী, কো-সুপারভাইজার নাজমুল আলীম। এছাড়া এ কাজে সাহায্য করেছেন তাঁর সহপাঠী মাহবুব আল মামুন ও উজ্জ্বল সরকার নামক একজন পরামর্শক। তিনি বলেন, আমাদের এই সেক্টরে কাজটাই হলো সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানব সমাজের জীবন সহজ করা। আমরাও এই প্রযুক্তির সাহায্য দ্বারা নতুন নতুন কিছু তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের সবসময় উৎসাহিত করি এবং সাপোর্ট দিই।’