ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অপশাসন নীতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়ে বিএনপি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২০  

অপশাসন ও দুর্নীতিপরায়ণ নীতির কারণে রাজনীতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিএনপি। জনসমর্থন হারিয়েছে দলটি। সবশেষ জাতীয় নির্বাচনেও খেয়েছে ভরাডুবি।

অপশাসনের ধৃষ্টতা সামনে কারচুপি ও অঘটন ঘটিয়ে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর। সেই বছরের নভেম্বর মাসে দলটির প্রবীণ রাজনীতিবিদ এ কি উএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। কিন্তু এর কিছু দিন না যেতেই ২০০২ সালের ২০ জুন তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে দলটির হাইকমান্ড। বলা হয়- বিএনপির অপশাসন ও দুর্নীতিপরায়ণ নীতির বলি হন বি. চৌধুরী।

তথ্যসূত্র বলছে, দলীয় শৃঙ্খলার নামে নিজেদের অশুভ ও অনৈতিক দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পদচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে বি. চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। যা বিএনপির রাজনৈতিক অপশাসনের সাক্ষী হয়ে থাকবে। উপযুক্ত ও পরীক্ষিত নেতাদের সম্মানহানী করার কারণে পর দলটিতে পরবর্তীতে বিপর্যয় নেমে আসে। 

ফলে বি. চৌধুরী ও কর্নেল অলিদের মতো পোড় খাওয়া নেতারা সম্মান রক্ষার্থে বিএনপি ছাড়তে বাধ্য হন। এতে করে বিএনপির প্রতি জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি হয়। যার ফলে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে দলটি।

২০০২ সালে যখন বি. চৌধুরী রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়েছিলেন তার আগে দলের বিশ্বাস হারানোর বিষয়টি সামনে এসেছিল। খবরের কাগজে বড় বড় করে লেখা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ওপর আস্থা নেই খোদ তার দল বিএনপির এমপিদের। পদত্যাগ না করলে ইমপিচমেন্ট করার হুমকি দেয়ায় সেদিন সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। 

জানা গেছে, ২০০২ সালের ১৯ জুন বিএনপি সংসদীয় দলের সভা শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সভায় বিএনপির নবীন সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ওপর প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

রাষ্ট্রপতি হওয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বৈরশাসক জিয়ার মাজার জিয়ারত করতে অস্বীকৃতি জানানো, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক মানতে রাজি না হওয়ায় এবং রাষ্ট্রপতির বিভিন্ন বক্তব্যে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ব্যবহার না করা, কারণ ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বিষয়টি বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ধারণ করে। এসব কারণে মূলত কপাল পোড়ে বি. চৌধুরীর। ফলশ্রুতিতে সম্মান বাঁচাতে ছাড়তে হয় রাষ্ট্রপতির পদ।

এদিকে বি. চৌধুরীকে অসম্মান ও পদচ্যুত করে নিজেদের পতনের পথ নিজেরাই সম্প্রসারিত করেছিল বিএনপি- এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

তাদের মতে, বি. চৌধুরীকে সরিয়ে দেয়ার ফলে দলটিতে বিভক্তি ও অনাস্থা প্রকাশ্য রূপ লাভ করে। যার দরুন পরবর্তী অলির মতো বহু পরীক্ষিত নেতা বিএনপি ছাড়েন। এতে করে জনগণের মাঝে ভুল তথ্য যায়। মানুষ বুঝতে পারে যে, বিএনপির মূর্খ ও ক্ষমতালোভীদের সংগঠন। যার কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে দলটি। জনগণের সমর্থন কমে আসে। সেই ভুলের মাসুল আজও দিতে হচ্ছে দলটিকে।