ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অপহরণের ১৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী, পাগল প্রায় বাবা-মা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

কুমিল্লায় অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ১৫ দিন পার হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা।

অপহৃত ওই ছাত্রীর নাম নাদিয়া সুলতানা উর্মি। সে নগরীর নুরপুর এলাকার মাইনুল ইসলামের মেয়ে। উর্মি নগরীর ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। 

এদিকে, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় একই এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে আরমান হোসেন ও আল-আমিনকে আসামি করা হয়েছে।

নাজমা বেগম বলেন, মামলার আসামি আরমান হোসেন একজন মাদকসেবী ও বখাটে হিসেবে এলাকায় পরিচিত। গত এক বছর ধরে সে আমার মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সে আমাদের বাড়ির সামনে আড্ডা দিতে শুরু করে। গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে উর্মি আমার ভাতিজা ফরহাদ হোসেনের বাসায় যাওয়ার পথে আমাদের বাসার সামনে থেকে আরমান কয়েকজন বখাটে ছেলেকে নিয়ে আমার মেয়েকে সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আর এ কাজে তাকে প্ররোচনা দেয় আল-আমিন। কিন্তু ঘটনার ১৫ দিন হলেও এখনো মেয়েকে ফিরে পেলাম না। সে কি বেঁচে আছে কি-না তাও জানি না।

ওই ছাত্রীর চাচা মোতাহার হোসেন মাহবুব বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি। তারা প্রথম দিকে কোনো সহযোগিতাও করেনি। সে সময় তারা আমাদের বলে আপনারা কোর্টে যান, সেখানে মামলা করেন। পরে আমরা আদালতে মামলা করলে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরই মধ্যে কুমিল্লার এসপির সহযোগিতায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি এফআইআর করেছে কোতোয়ালি থানা। কিন্তু তারা আমার ভাতিজিকে উদ্ধারে তেমন কোনো তৎপরতা চালাচ্ছে না। মেয়েটা কেমন আছে জানি না। মেয়ের জন্য তার বাবা-মা এখন পাগল প্রায়।

বুধবার দুপুরে এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা পুলিশের এসপি নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা অপহরণের মামলাগুলোকে সব সময় ফাস্ট প্রায়োরিটি দেই। ওই ছাত্রীর অপহরণ মামলাটিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তাকে উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এলআইসি টিমের সদস্যরাও কাজ করছেন।