ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অফগ্রিড গ্রামেও যাচ্ছে বিদ্যুৎ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২০  

সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী বিদ্যুতায়নের কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে যেসব এলাকা অফগ্রিডের মধ্যে রয়েছে সেগুলোও দ্রুত সংযোগের আওতায় আনার কাজ করা হচ্ছে।

সাধারণত সমতল ভূমিতে মানুষের জমি, নদী, খাল পেরিয়ে হলেও সারাদেশকে গ্রিড বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এমনকি সন্দ্বীপের মতো দ্বীপ অঞ্চলেও সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিয়েছে সরকার। তবে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে এখনো বেশকিছু অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া বাকি। সরকার সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ করছে। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল, চরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো কষ্টসাধ্য সেই সব অফগ্রিড এলাকায়ও বিদ্যুৎ পৌঁছানোর কাজ পুরোদমে চলছে।

সচরাচর যেসব অসমতল ভূমিতে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে যেখানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সহজে পৌঁছে দেওয়া যায় না তাকে অফগ্রিড এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এক হিসাব অনুযায়ী তাদের আওতাধীন ১ হাজার ৫৯টি গ্রাম রয়েছে অফগ্রিড এলাকা। যার মধ্যে ১ হাজার ৩০টি গ্রামে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হবে। সাবমেরিন ক্যাবল বসিয়ে বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোয় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে এবং ২৯টিতে সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে।

আরইবি সূত্রে জানা যায়, তাদের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে ২৬টি সমিতির আওতায় ৬৮ উপজেলার ১ হাজার ৫৯টি গ্রাম রয়েছে। যার মধ্যে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৯টি গ্রামের ২ হাজার ৪১০ জন গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গত মাসেই ১১টি গ্রামে ৪৯৫ জন গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হয়েছে অফগ্রিড এলাকায়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আমাদের সময়কে বলেন, সরকার লক্ষ্য অনুযায়ী সব মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে। ইতোমধ্যে ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষের সামনে একটি ভিশন দিয়েছেন যে ২০২১ সালের মধ্যে সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ সেই ভিশন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে সফলতার কাছাকাছি চলে এসেছে। তিনি বলেন, শুধু গ্রিড এলাকা নয় অফগ্রিড এলাকায়ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ করছি আমরা। সব বিতরণ কোম্পানি তাদের আওতাধীন অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কাজ করছে। যেখানে গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো যাবে না সেখানে সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হবে।

এদিকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবারও গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ১১টি গ্রিড উপকেন্দ্র, ছয়টি সঞ্চালন লাইন এবং ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, শতভাগ বিদু্যুতায়নের সিংহভাগ বাস্তবায়ন করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন সমিতিগুলো। আমরা আশা করছি গ্রিড বা অফগ্রিড সব এলাকায় চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ বাস্তবায়ন করতে পারব। তিনি বলেন, করোনা অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। তবু আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন বাস্তবায়ন করতে পারব। তিনি বলেন, অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুতায়ন বাস্তবায়ন করতে আরইবি নিজস্ব অর্থায়নে ৩২৬ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। ১ হাজার ৩০টি গ্রামে আড়াই লাখ গ্রাহক রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই সবার বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করব।