ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

অবহেলিত কুমিল্লার প্রথম মুক্তাঞ্চল জগন্নাথদীঘি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

২৮ নভেম্বর ছিল জগন্নাথদীঘি মুক্ত দিবস। চৌদ্দগ্রামের যত মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের প্রাণে ২৮ নভেম্বর দিনটি আসলেই আনন্দ ক্ষণের বাজনা বেজে উঠে, দোলা দেয় হৃদস্পন্দন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অতর্কিত হামলা মোকাবেলায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মত জগন্নাথদীঘি অঞ্চলের মানুষরাও করেছেন মরণবাজি সংগ্রাম। যখন দেশের বিভন্ন অঞ্চল স্বাধীন হতে থাকে। তখন ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের অনবদ্য সংগ্রামে মুক্ত হয় জগন্নাথদীঘি। ১১ নভেম্বর বেতিয়ারায় ৯ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়েও এই অঞ্চলের যোদ্ধারা মানসিকভাবে দূর্বল হননি। বরং লক্ষ্য স্থির রেখে নিজেদের মানসিক শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দীঘির পাড়ে (জগন্নাথদীঘি) থাকা সেনাবাহিনী ক্যাম্পে (জং ঘাঁটি) বারবার হামলা চালানোর চেষ্টা করে এই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা। এদের বেশিরভাগ যোদ্ধা ছিলেন ত্রিপুরার বড়টিলা (ভারত) থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ২৭ নভেম্বর ভোররাতে দীঘির পাড়ে অবস্থিত ক্যাপ্টেন জংয়ের ঘাঁটির পতন ঘটে এবং এর মাধ্যমে জগন্নাথদীঘির উত্তর-দক্ষিণে ১০ কিলোমিটার শত্রুমুক্ত হয়। পরদিন সকাল দশটায় জংয়ের ইপিআর ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত হওয়া জগন্নাথদীঘি অঞ্চলটি কুমিল্লা তথা দেশের উত্তর-পূর্বাংশের প্রথম মুক্তাঞ্চল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের এই ঐতিহাসিক স্থানটি বর্তমানে অবহেলিত। নেই কোনো দৃশ্যমান স্মৃতিস্তম্ভ অথবা মুক্তাঞ্চল স্মৃতি ধরে রাখার স্থাপনা!

১৯৯৩ সালে জগন্নাথদীঘির পাড়ে আয়োজিত এক স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা প্রশাসক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে পাঠাগার, দাতব্য চিকিৎসালয়, সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ঘোষনা দিলেও ২৬ বছর পরেও এসবের কিছুই আলোর মুখ দেখেনি। এই বিষয়ে জগন্নাথদীঘি মুক্তাঞ্চল স্মৃতি পরিষদের কর্মকর্তারা বলেন, প্রত্যেক বছরের ২৮ নভেম্বরে এখানে সকল মুক্তিযোদ্ধারা আসেন তাদের স্মৃতিচারণ করেন, কিন্তু এখানে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা ঘটেছে তবুও এই স্থানটি স্মরণীয় করে রাখার মত কোনো স্থাপনা আজ পর্যন্ত কেউ তৈরী করেনি।

জগন্নাথদীঘিকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। সকলের দাবি এখানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্থাপনা তৈরী হোক অথবা ২৬ বছর আগে ঘোষনাকৃত দাতব্য চিকিৎসালয় তৈরী করা হোক দ্রুত। তাছাড়া এই ঐতিহাসিক জগন্নাথদীঘি মুক্ত দিবস সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক তথ্য জানাতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।