ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অবৈধ উপায়ে গ্রীস যাওয়ার পথে কুমিল্লার যুবক নিহত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২০  

লেবানন থেকে তুরস্ক হয়ে গ্রীসে যাওয়ার পথে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন কুমিল্লার এক হতভাগ্য যুবক। তার নাম মোঃ আবু সাঈদ রাসেল। সে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় বামিশার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

তুরস্ক সীমান্ত থেকে একটি প্রাইভেটকারে পেছনের ডিকিতে করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নিহত রাসেল রওনা দেন। পথেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সে মারা যায়। তার সাথে একইভাবে মারা যান আরো ২জন। তাদের বাড়ি সিলেটে। পুলিশের মাধ্যমে গ্রীস সীমান্তের কাছে একটি জঙ্গল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে গ্রীস দূতাবাস ও স্থানীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। ১৩ মার্চ তাদের মরদেহ সংরক্ষণের জন্য নিয়ে সংগ্রহ করা হয়। পরে এই তিন হতভাগ্যের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় বামিশা গ্রামের আবু সাঈদ রাসেল গত ৪ বছর ধরে লেবানন থাকতেন। সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে গ্রীসে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন।

প্যারিসের এক প্রবাসী জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাসেল ও অন্যরা একটি প্রাইভেট কারে করে রওয়ানা দেন। রাসেল ও সিলেটের নিহত ২ জনকে প্রাইভেটকার পেছনের ডিকিতে নেওয়া হয়। গ্রীস সীমান্তের ৭৬ কিলোমিটার কাছে আসার পর প্রাইভেটকারের পেছনে ডিকিতে থাকা তিনজন শ্বাসকষ্টে চিৎকার করতে থাকেন এবং গাড়ির সিটে ও বডিতে আঘাত করতে থাকেন। কিন্তু চালক গাড়ি না নামিয়ে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা মারা যায়। পরে গাড়ি চালক গাড়ি নামিয়ে রাস্তার পাশে জঙ্গলে তিন জনের লাশ ফেলে যায়। গাড়িতে থাকা অন্যরা গ্রীসে পৌঁছে যায়।

পরে নানাভাবে খবর ছড়িয়ে পড়লে ঐ গাড়ি চালকের কাছ থেকে ঘটনাস্থলের নাম জেনে গ্রীস দূতাবাসের মাধ্যমে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে স্থানীয় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। গ্রীস যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান জানান, দূতাবাসের মাধ্যমে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থাকে লাশগুলো গ্রীসে নিয়ে আসার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৫ মার্চ সোমবার নাগাদ লাশগুলো আনা হতে পারে। তারপর দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি তিনি তদারকি করছেন।

নিহত মোঃ আবু সাঈদ রাসেলের ছোটভাই হাফেজ বাহার মিয়া জানান, তার ভাই রাসেল মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছে। গত চার বছর ধরে সে লেবাননে ছিল। সেখান থেকে গ্রীসে যেতে চেয়েছিল। গ্রীস দূতাবাস থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।