অভিযোগের অর্ধেকও সমাধান করছে না মোবাইল অপারেটররা

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিদিনই বাড়ছে কলড্রপ, এমএনপি, নেটওয়ার্ক কাভারেজসহ নানা অভিযোগ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে গত এক বছরে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবা সম্পর্কিত ১৪ হাজার ৩৭টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২২২টি অভিযোগের সমাধান করেছে অপারেটরগুলো।

সম্প্রতি বিটিআরসির প্রকাশিত তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে রবির বিরুদ্ধে। এক বছরে তাদের বিষয়ে ৫ হাজার ৬৪৬টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে অপারেটরটি সমাধান করেছে ২ হাজার ৫৪১টি। যা মোট অভিযোগের ৪৫ শতাংশ।

এর পরের অবস্থানেই আছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তিন হাজার ৬৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে অপারেটরটি সমাধান করেছে মাত্র ৯৮৬টির। যা তাদের বিরুদ্ধে জমা পড়া মোট অভিযোগের মাত্র ২৭ শতাংশ।

তবে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিক্যাশনস মুহাম্মদ হাসান বলেন, ২০১৯  সালে বিটিআরসির হটলাইন থেকে আসা অভিযোগগুলোর ৯৯ ভাগই আমরা সমাধান করেছি। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা সর্বদা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অভিযোগসমূহ ও কারিগরি সমস্যাগুলো সমাধান করে থাকে। একই সঙ্গে গ্রাহকরা আমাদের ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধান করে নিতে পারছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলালিংক। এক বছরে অপারেটরটির বিরুদ্ধে সব মিলে এক হাজার ৪৮৮টি অভিযোগ এসেছে। যার মধ্যে অপারেটরটি সমাধান করেছে ৭৭২টির। শতাংশে বিবেচনায় যা ৫১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের বিরুদ্ধে গত এক বছরে জমা পড়েছে এক হাজার ৩৬৩টি অভিযোগ। এগুলোর মধ্যে সমাধান দেয়া হয়েছে ১৩৮টির।

এক বছরে জমা পড়া অভিযোগের প্রায় ৪৬ শতাংশ সমাধান করেছে অপারেটরগুলো। তবে এখনো সমাধান করা হয়নি ৫৪ শতাংশ অভিযোগ।

মোবাইল গ্রাহক ও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রকৃত অভিযোগ আরো বেশি। সারা দেশে অনেক গ্রাহক রয়েছেন, যারা এ-সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লেও অভিযোগ করেন না, বা অনেকেই অভিযোগ করার প্রক্রিয়া জানেন না।

এদিকে প্রথমবারের মতো মোবাইল ফোন অপারেটরদের বাইরেও অভিযোগ আমলে নিয়েছে বিটিআরসি। এক বছরে সরকারি কোম্পানি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নামে ৫৯ অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়া আইএসপিদের নামেও ১৭০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।