আইসিসির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনে ইচ্ছুক ভারত!

২০২৩ সাল থেকে প্রতি বছর একটি করে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল আইসিসি। তবে ক্রিকেটের ‘তিন মোড়ল’ নামে পরিচিত ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই সেই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। এবার নিজেরাই নতুন ধরণের এক টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ভাবছে তারা।

নতুন টুর্নামেন্ট ধারণার প্রবর্তক ভারত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রতি বছর অন্তর ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) সঙ্গে নিয়ে চার জাতির এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায়।

মূলত আইসিসির বিরোধিতা করে নিজেদের দাপট বাড়াতেই এমন টুর্নামেন্টের চিন্তা করছে বিসিসিআই। তাদের চার জাতির টুর্নামেন্টে অন্য বোর্ডের সাপোর্ট পেতে বিশেষ টোপও দিয়েছে তারা। ‘প্রতি বছর একটি টুর্নামেন্ট’ - আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রস্তাবিত চার জাতির টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ডেরই। যারা এ প্রস্তাবকে সমর্থন করবে, তিন মোড়লকে সঙ্গে খেলতে তাদের মধ্যে প্রতি বছর একটি করে বোর্ডকে বেছে নেয়া হবে।

এই টুর্নামেন্টের অনুমতি নিতে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসির দ্বারস্থ হতে চলেছে বিসিসিআই। এরই মধ্যে বোর্ড সেক্রেটারি জয় শাহ ও ট্রেজারার অরুণ ঢুমালকে নিয়ে গত সপ্তাহে লন্ডনে গিয়েছিলেন বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি। সেখানে ইসিবি প্রতিনিধির কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে এসেছেন সৌরভ।

আগামী বছরের শুরুতে ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসের। তাকে প্রলুব্ধ করে চার জাতি টুর্নামেন্টের প্রথম আসর অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজনের কথা ভাবছে ভারত। আইসিসির অনুমতি মিললে আগামী বছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মাঠে গড়াবে প্রস্তাবিত এ টুর্নামেন্ট।

টুর্নামেন্ট আয়োজনের সময়সীমাও ভেবে রেখেছে ভারত। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে নভেম্বর-ডিসেম্বরের উৎসবমুখর সময়কে বেছে নিতে চায় বিসিসিআই। তবে ইসিবির ইচ্ছা টুর্নামেন্ট হোক তাদের গ্রীষ্মকালীন সময় অর্থাৎ জুন-জুলাইয়ে। আবার অস্ট্রেলিয়া চায় তাদের গ্রীষ্মকে কাজে লাগাতে। অস্ট্রেলিয়ায় গ্রীষ্মের শুরু নভেম্বর থেকে। ফলে সময়ের ব্যাপারে একটা মতানৈক্য দেখা দিতে পারে। 

তবে শেষ পর্যন্ত আসলেই এ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে কিনা তা জানা যাবে দিন কয়েক পরেই।