আগামী সাড়ে তিন বছরে ফরিদগঞ্জের কোনো কাজই বাকি থাকবে না

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেছেন, গত দেড় বছরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় যত উন্নয়ন হয়েছে, আমি যদি সুস্থ থাকি এবং করোনা সমস্যা যদি কেটে যায়, তাহলে আগামী সাড়ে তিন বছরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়নের কোনো কাজ বাকি থাকবে না। আমরা প্রতিটি গ্রাম ধরে উন্নয়ন করছি। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি সড়ক পাকাকরণের কাজ চলছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। আবার ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কসহ আরো কয়েকটি কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলছে। ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণের মধ্য দিয়ে পুরো ফরিদগঞ্জ উপজেলাকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছি। এজন্য আপনারা সকলে দোয়া করবেন। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর থাকার কারণেই আমরা এসব উন্নয়ন কর্মকা- করতে পারছি। শনিবার বিকেলে তিনি তাঁর বাড়ি বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

এ সময় সহকারী কমিশনার (ভুমি) শারমিন আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সাবেক সদস্য খাজে আহাম্মদ মজুমদার, উপজেলা যুব লীগ নেতা আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হলো : ২ কোটি ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৭ টাকা ব্যয়ে রূপসা ডিসি-পালিসারা জিসি সড়কের উপর কামতা ব্রিজ, ৪ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৯ টাকা ব্যয়ে ফরিদগঞ্জ-পাটওয়ারী বাজার সড়ক, উটতলী নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, উত্তর রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ২ কোটি ১৬ লাখ ১০৯ টাকা ব্যয়ে গল্লাক বাজার ব্রীজ নির্মাণ ইত্যাদি।

এর আগে তিনি শনিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, গাছ আমাদের অঙ্েিজন সরবরাহ করার মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখে। পরিবেশ সুন্দর রাখতে গাছের বিকল্প নেই। বর্তমান করোনাকালে চিকিৎসকরা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশি করে ফল খেতে উদ্বুদ্ধ করছেন। আমাদের যাদের প্রাণীজ আমিষ নিয়মিত খাওয়ার পুরোপুরি সামর্র্থ্য নেই তাদের জন্য ফল রয়েছে। এই ফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আমাদের বেশি করে ফলজ গাছ লাগাতে হবে। প্রতিটি বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ফলজ বৃক্ষ রোপণের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। পর্যাপ্ত গাছ লাগালে যেমন পরিবেশ সুরক্ষা হবে, তেমনি আমাদের খাবারের চাহিদাও মিটবে। বর্ষার এই সময়টাই গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। গাছ লাগিয়ে তার পরিচর্যা করতে হবে। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে গাছ লাগাই।

তিনি আরো বলেন, একটি দেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের ২৫ ভাগ বনায়ন প্রয়োজন। কিন্তু আমরা এর থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছি। ফরিদগঞ্জবাসীকে প্রাকৃতিকর্ দুেযাগ থেকে রক্ষা করতে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। ইতিমধ্যেই ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুব লীগ তাদের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে। আশা করছি রাজনৈতিক দল, সামজিক প্রতিষ্ঠানসহ সকলেই এই বৃক্ষ রোপণে এগিয়ে আসবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার, গল্লাক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গনি বাবুল পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সাবেক সদস্য খাজে আহাম্মদ মজুমদার, উপজেলা যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।