ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজিজ কো-অপারেটিভ চেয়ারম্যানের শতকোটি টাকা আত্মসাৎ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

এমএলএম কোম্পানি হয়ে ব্যাংক পরিচয় দিয়ে ১১ হাজার ৪২৫ জন গ্রাহকের থেকে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া অনুমোদিত ২৬টি শাখার জায়গায় সারাদেশে ৮০টি অবৈধভাবে শাখা গড়ে তোলে কোম্পানিটি।

রোববার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এ বিষয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় করা অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকির বিরুদ্ধে করা এক মামলায় মো. তাজুল ইসলামকে ১১ জুলাই গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে আসামির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা যায়।

 

মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের কার্যক্রম ১৯৮৪ সালে শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ছিল সম্পূর্ণ এমএলএম কোম্পানির মতো। এ ছাড়া ব্যাংক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠনের কোনো স্বীকৃতি নেই। কিন্তু নামের শেষে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সমবায় অধিদফতর কর্তৃক আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের কার্যক্রম সমগ্র দেশে ২৬টি শাখার অনুমোদন থাকলেও ৮০টি শাখা পরিচালনা করে তাজুল ইসলাম। এসব ৮০টি শাখার ১১ হাজার ৪২৫ গ্রাহকের কাছ থেকে আনুমানিক তিনশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

তিনি বলেন, আত্মসাৎ করা এ ৩০০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের ৫০টি ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হয়। পরে এসব একাউন্ট থেকে অনলাইনে ট্রান্সফার করে টাকা স্ত্রী আফরোজা পারভীন ও তিন ছেলের একাউন্টে স্থানান্তর করেন তিনি। এরমধ্যে কানাডা প্রবাসী তার দুই ছেলের কাছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পাচার করে। এ ছাড়া এসব টাকার কিছু অংশ দিয়ে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় মার্কেট ও জমি ক্রয় করেন।

গ্রাহকদের প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা দেয়ার বিষয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, ১২ শতাংশ সুদ ও ১৮ শতাংশ লাভাংশ দেয়ার কথা বলে ৮০টি শাখা থেকে টাকা নেয়া হতো গ্রাহকদের কাছ থেকে। পরে টাকা দেয়ার সময় হলে, গ্রাহকরা টাকা চাইলে তাদের আজ নয় কাল করে সময় দেয়া হতো। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা না মানলে তাদের হুমকিও দেয়া হত। 

মানি লন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধানে প্রাথমিক প্রমাণিত হওয়ায় এম তাজুল ইসলাম, সাজ্জাদুল ইসলাম তানভীর, মো. জাকির চৌধুরী বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে।