ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আপনার সন্তান গ্যাং কালচারে জড়িত কিনা তা বুঝবেন কি ভাবে?

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সম্প্রতি রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় কিশোর গ্যাংয়ের কারণে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মারধর, চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা, মেয়েদের উত্যক্ত করার মতো অভিযোগও রয়েছে এসব গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।

গত কয়েকদিন ঢাকা চট্টগ্রাম মিলিয়ে সারা দেশে এরকম কিশোর গ্যাং-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ১০০ কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।

এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, কিশোর গ্যাং কালচার যেন গড়ে উঠতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারদের তৎপর থাকার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাং কালচারে জড়িত কিশোরদের মধ্যে নামীদামী স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিজাত ও শিক্ষিত পরিবারের সন্তানদের সংখ্যা বেশি।তবে এইসব কিশোরদের ব্যাপারে অভিভাবকদের কোন ধারণাই ছিল না।

কেন গ্যাং সংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা?

পুলিশ ও সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা, অ্যাডভেঞ্চার বা ক্ষমতা দেখানোর লোভ, মাদক, বন্ধুদের পাল্লা পড়াসহ নানা কারণে কিশোর গ্যাং গুলো তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. তানিয়া রহমান বলছেন, ব্যস্ততার কারণে অনেক বাবা-মা সন্তানদের ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না।সন্তান কি করছেন, কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে এসব বিষয়ে তারা খোঁজ রাখেন না।

তিনি বলেন, বাবা-মা সময় না দেয়ার কারণে তারা বেশি সময় কাটাচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে। সেখানে তারা একই ধরণের মানসিকতা খুঁজে পায়, সাপোর্ট পায়। এভাবেই তাদের ছোট ছোট গ্যাং দল তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় এসব কিশোরেরা মাদক সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে রাজনৈতিক বড়ভাইদের আশ্রয়ে থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে গ্যাং দল তৈরি করে। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয়ে পড়ে।

কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান গ্যাং কালচারে জড়িত-

আসুন জেনে নেই যেভাবে বুঝবেন সন্তান গ্যাং কালচারে জড়িত-

১. সন্তানের চলাফেরা, আচরণের দিকে খেয়াল করুন। অস্বাভাবিক আচরণ করলে খোঁজ নিন সে কোন গ্যাং বা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে কিনা।

২. সন্তান সময়মতো বাসায় ফিরছে না। ঠিকমতো খাচ্ছে না বা ঘুমাচ্ছে না। হয়তো বাসায় ফিরে নিজের ভেতর গুটিয়ে থাকছে।

৩. কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে। বাসায় বন্ধুদের নিয়ে বেশি আড্ডা দিচ্ছে।

৪. খেয়াল করুন সন্তানের কাপড়চোপড়ের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে কি না।এছাড়া হাতে বা কানে নানা ধরণের অলংকার ব্যবহার শুরু করেছে।

৫. সন্তান বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে কি না খেয়াল করুন।

কী করবেন?

কিশোরদের গ্যাংয়ে জড়িত হওয়া ঠেকাতে অভিভাবকরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা।

১. সন্তানকে সময় দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আস্থার, বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।

২. সন্তানের স্কুলে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা, কাদের সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, সেটা নিয়মিতভাবে নজরে রাখা উচিত।

৩. এছাড়া সন্তানদের হাতখরচ দেয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকা উচিত, যেন সেটা অতিরিক্ত না হয়।

৪. সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে। তাকে বকাঝকা নয়, বরং তার কথা শুনতে হবে।

৫. সন্তান যদি কোনো গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ে তবে স্কুল-কলেজ বদলে ফেলা ভালো। সেক্ষেত্রে সন্তানের জন্য সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।