ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আমন ধানের চারার হাট জমজমাট

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারে রোপা আমন ধানের চারার হাট সবার নজর কাড়ছে। এ হাট থেকে উপজেলার উদ্বৃত্ত চারা যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ভাদ্রের শেষে বৃষ্টিতে জমি তৈরি ও জমিতে ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব চারা। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যখন বন্যার পানিতে বীজতলা তলিয়ে যায় তখন এখানকার ধানের চারা কৃষকদের জন্য সুফল বয়ে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণের প্রথম থেকে রোপা আমন ধানের চাষ শুরু হলেও এ বছর জমিতে আউশ ধান থাকার কারনে আমন ধান চাষের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে অতিরিক্ত বৃষ্টির ও বন্যার কারনে ঠিকমত বীজতলা তৈরী করতে পারেন নাই অনেক কৃষক। ফলে এবছর রোপা আমন চাষে অনেকটা বিলম্ব হলেও বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় চাষে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

প্রাকৃতিক বন্যার কারনে ধানের চারার ক্ষতি হওয়ায় বিপাকে পরেছিলেন অনেক কৃষক। তবে সংকট মোকাবেলায় কেউ কেউ উচু এলাকায় চারা রোপন করেছিলন। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছেন কৃষকরা।

সাহেবাবাদ বাজারে ধানের চারা বিক্রয় করতে আসা উপজেলার রামনগরের কৃষক হান্নান মিয়া জানান, আমি উপজেলা কৃষি অফিসারগণের পরামর্শে বিএডিসি অফিস থেকে ৪৫ কেজি ধান সংগ্রহ করে ১৫ শতক জমিতে ফলাই। এতে যে ধানের চারা হয়েছে তা দিয়ে আমার ১২০ শতক জমিতে চারা রোপন করে বাকি চারা আমি ৫ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি এবং আমি আরো ৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারবো।

বাজারে আসা ক্রেতা উপজেলার নাইঘর গ্রামের কৃষক আজগর আলাী জানান, আমি সাহেবাবাদ বাজারে এসেছি আমন ধানের চারা কিনতে। এই বাজারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা ধানের চারা ক্রয় বিক্রয় করতে আসে। আমিও প্রতি বছর এই বাজার থেকে চাহিদা ও পছন্দ মত ধানের চারা ক্রয় করে আমার জমি চাষ করি আসছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহাবুবুল হাসান বলেন, বীজতলা তৈরী থেকে শুরু করে ধানের বীজ সংগ্রহ করে দেওয়া এবং বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করেছি আমরা কৃষি কর্মকর্তাগণ। করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় আমরা কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমন ধান রোপনের জন্য বর্তমান সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে ধানের বীজ, সার প্রনোদনা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারে ধানের চারার জমজমাট হাট বসছে। বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা সেখান থেকে এসে চারা সংগ্রহ করছে। এসব চারার বীজ উদ্বৃত্ত হিসেবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলে যাচ্ছে।