ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৯  

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সোহাগ নামের এক আসামী ধরাকে কেন্দ্র করে সাধারনের সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে এক শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এসময় ৩ পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের উত্তর পাড়ার মফিজুর রহমানের ছেলে ২ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোহাম্মদ সোহাগকে ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন বাঙ্গড্ডা গ্রামের ভ্যান চালক কবির আহাম্মদের ছেলে শিশু রাকিব হোসেন (১১),  ও মফিজুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নাঙ্গলকোট এএসআই আবদুর রহীম, কনষ্টেবল জাহিদ ও মানিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঙ্গড্ডা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে সোহাগ পুলিশের উপর হামলা সহ ৪ মামলার আসামী। এরমধ্যে দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা ছিল। এসব পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করতে বুধবার গভীর রাতে এএসআই আবদুর রহীমের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ সোজাগের বাড়ীতে হানা দিয়ে সোহাগকে আটক করে। তখন সোহাগ সকল মামলায় জামিনে রয়েছে এবং থানায় রি-কল জমা আছে বলে তার হাতকড়া খুলে দিতে বলে। এনিয়ে তার সাথে এএসআই রহীমের বাক বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহাগের চিৎকারে তার ভাই ফারুক সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা সোহাগকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সাথে দস্তাদস্তি করে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে রাকিব নাসের এক শিশু ও সোহাগের ভাই ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় উত্তজিত জনতা পুরিশের উপর চড়াও হয় একটি বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে এএসআই আবদুর রহীম, কনষ্টেবল জাহিদ ও মানিক আহত হয়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) সাইফুল ইসলাম সাইফ, নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

আসামী সোহাগ বলেন, আমি জামিনে থাকার পরও আমার ওয়ারেন্ট আছে বলে ধরে নেয়ার চেষ্টা করলে আমার মা ও স্ত্রী বাধা দেয়। এসময় আমরা দারোগা রহীমের কাছে ওয়ারেন্ট কপি চাইলে সে দেখাতে পারেনি। এক পর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও  আমার মা এবং স্ত্রীকে মারধর করে। আমাদের চিৎকার শুনে আমার ভাই এগিয়ে এলে তাকেও তিনি গুলি করেন। তার এমনকান্ডে গ্রামবাসী উত্তজিত জনতা তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে তাদের গ্রামবাসী অবরুদ্ধ করে রাখে। ভোরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, একাধিক পরোয়ানাভুক্ত আসামী সোহাগকে গ্রেফতার করলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার স্বজনরা পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোঁড়ে আক্রমন চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় ৩ পলিশ সদস্য সহ ৫ জন আহত হয়েছে। আমরা আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।