ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আড়াইশত বছরের পুরানো বুড়ির মসজিদ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২১  

দেখতে গ্রামের অন্যান্য মসজিদের মত ইটবালি ও টিন দিয়ে তৈরি একটি স্বাভাবিক মসজিদ। দেখলে কোন ভাবে বুঝার উপায় নাই যে এর বয়স প্রায় আড়াইশত বছর। নদী ভাঙ্গনের ফলে বর্তমান স্থানে এটি দ্বিতীয় বার স্থাপন করা হয় সেই ১৮৮৮ সালে। কিন্তু মানুষ এই মসজিদকে বিশ্বাস করে অন্যান্য মসজিদের চেয়েও একটু ভিন্ন ভাবে। গ্রামের অনেক সহজ সরল মানুষ মনে করে এই মসজিদে আধ্যাত্বিক কোন শক্তি আছে। এই জন্য গ্রামের অন্যান্য মসজিদ থেকেও এই মসজিদে দান অনুদানের পরিমান অনেক বেশী। নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের বুড়ির মসজিদের ইতিহাস এটি।

মসজিদের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের দেওয়ালে বিশাল সাইনবোর্ডে লেখা বুড়ির মসজিদ নামে। সাইনবোর্ডে লেখা প্রতিষ্ঠার তারিখ দেখে বুঝা যায় এর বয়স হবে প্রায় আড়াই শত বছর। এই পুরানো মসজিদটি উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের মুডা হাফেজেগো বাড়ীর দরজায় অবস্থিত। কথিত আছে আড়াই শত বছর আগে পূর্বের জায়গায় মসজিদটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে আলীম উদ্দিন ছাফরাসি নামে এক লোক মসজিদটি নিয়ে হাতিয়া চলে আসে। পরে আলীম উদ্দিন ছাফরাসি

তাদের পারিবারিক ভাবে বসবাসের জন্য তৈরী করা বাড়ীর দরজায় এই মসজিদটি ১৮৮৮সালে দ্বিতীয়বার স্থাপন করেন।

মসজিদটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পর্কে আলাপ কালে আলীম উদ্দিন ছাপরাসির নাতি ও বর্তমান বুড়ির মসজিদের পরিচালনা কমিঠির সভাপতি জাকারিয়া ডিপটি বলেন, এই মসজিদটি আমাদের বাড়ীর দরজায় পুন:স্থাপিত হয় ১৮৮৮ সালে। এরপর থেকে আমাদের পরিবারের লোকজন বংশানুক্রমে মসজিদটি পরিচালনা করে আসছে। একসময় এলাকার লোকজন মসজিদটিকে আধ্যাত্বিক কোন শক্তি আছে মনে করে অনেক কিছু দিয়ে যেত। কেউ কেউ প্রথম সন্তান জন্ম দিলে তাকে মসজিদে নিয়ে আসত। কেউ কেউ শুক্রবার জুমার নামাজে বিভিন্ন উপলক্ষ্যেকে উদ্দেশ্য করে দান অনুদান ও বাহারি আইটেমের নাস্তা তৈরি করে মুসল্লিদের জন্য নিয়ে আসত।

পূর্বপুরুষদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, ১৭৭৮ সালে এই মসজিদটি স্থাপিত হয় তৎকালিন ত্রিপুরা রাজ্যের ভুলুয়া নামক স্থানে। নি:সন্তান একজন বুড়ি মারা যাওয়ার আগে তার সকল সম্পত্তি এলাকার লোকজনের মধ্যে বিভাজন করে দিয়ে যান। বুড়ি মারা যাওয়ার পর এলাকার লোকজন বুড়ির দেওয়া ওয়াদা পালন করতে গিয়ে এই মসজিদটি তৈরী করেন। সে থেকে এই মসজিদের নাম দেওয়া হয়েছে বুড়ির মসজিদ হিসাবে।

হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এই দ্বীপের চেয়েও মসজিদের বয়স অনেক বেশী হওয়ায় কৌতুহল নিয়ে অনেকে এখনও দেখতে আসে এই মসজিদটি। কিন্তু হাতিয়াতে যে ভাবে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে তাতে যে কোন সময় মসজিদটি আবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে। তাই ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা মনে করেন প্রাচীন এই মসজিদের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এর রক্ষনাবেক্ষন ও নদী ভাঙ্গন রোধ করা দরকার।