ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণ গ্রহণের মাত্রা বেড়েছে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

বিশ্বের উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর (ইএমডিই) ঋণ গ্রহণ ব্যাপক হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, গত পাঁচ দশকে এ ঋণের পরিমাণ ৫৫ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উপর ভিত্তি করে এসব তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইএমডিইগুলোর ঋণের মাত্রা বৃদ্ধির একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে চীনের ঋণ। ১০০টি দেশ নিয়ে এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলোর ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিংহভাগ দেশ ।

বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ওয়েভস অব ডেট’ শীর্ষক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১০ সালে ঋণ গঠন শুরুর পর থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঋণ-জিডিপি অনুপাত ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধির চারটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব নিয়ে ‘গ্লোবাল ওয়েভস অব ডেট’ সমীক্ষাটি করা হয়েছে।

ভোক্তা, ব্যবসা ও সরকারি- মোট সব ধরনের ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। সেই সঙ্গে ঋণের অর্থ পরিশোধ, বিশেষ করে ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ তহবিলগুলোর ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে অর্থনীতির প্রতিটি অংশে যে পরিমাণ চাপ পড়ে তার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ১০০টি দেশের ঋণ-জিডিপি অনুপাত প্রতি বছর গড়ে সাত শতাংশ পয়েন্ট করে বাড়তে দেখা গেছে, যা ১৯৮০ সালে লাতিন আমেরিকায় উদ্ভূত ঋণ সংকটের চেয়ে প্রায় তিন গুণ দ্রুত।

বিশ্বব্যাংকের ইকুইটেবল গ্রোথ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনস বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট চেয়েলা পাজারবাসিগলু বলেন, বড় আকারের ঋণ বৃদ্ধি প্রায়ই উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থিক সংকটের সঙ্গে সংযুক্ত। 

ঋণ ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সংকটগুলোর মুখে ঝুঁকির মাত্রা কমাতে এসব দেশের নীতি নির্ধারকদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর দুর্বল মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক মাত্রায় সুদহার সর্বনিম্নে নামিয়ে নেয়ার প্রবণতা ‘আপাতভাবে’ একটি সংকটের ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে। কিন্তু গত ৫০ বছরের রেকর্ড সুদহার ও মূল্যস্ফীতি কম থাকার ঝুঁকি তুলে ধরছে।

১৯৭০ সালের পর থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় জাতীয়ভাবে ৫২১টি দ্রুত ঋণ প্রবৃদ্ধির ঘটনা রয়েছে। যার প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট সঙ্গী হয়েছে। আর এসব ঘটনা দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে মাথাপিছু আয় ও বিনিয়োগ দুর্বল করেছে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, সর্বশেষ ঋণ তরঙ্গের আকার, গতি ও বিস্তৃতি সবাইকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ঋণ ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তা কেন নীতি নির্ধারকদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকা উচিত, প্রতিবেদনটি তা তুলে ধরেছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে নীতি নির্ধারকরা প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি যেসব ঋণ গ্রহণ হচ্ছে সেগুলো যেন জনগণের সর্বোচ্চ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পারবে।