ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন আজ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২০  

ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন আজ। ১৯৬৩ সালের ৩১ অগস্ট তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার কাছ থেকেই ঋতুপর্ণের মাঝে সৃজনশীল কিছু করার ইচ্ছা জাগে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাতে ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘হীরের আংটি’। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ‘উনিশে এপ্রিল’, যেটা বেস্ট ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।

এরপরের ২০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১২টি জাতীয় পুরস্কারসহ অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯৭ সালে তার পরের ছবি ‘দহন’ মুক্তি পায়। সত্য ঘটনা নিয়ে বানানো এই ছবিটি সেরা চিত্রনাট্যের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। একই সঙ্গে অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই ছবিতে তাদের চরিত্রের জন্য যৌথভাবে সেরা অভিনেতা (নারী) পুরস্কারে ভূষিত হন।

১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় ‘অসুখ’। এটি বাংলা ভাষায় সর্বশ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। ২০০০ সালে মুক্তি পায় ‘বাড়িওয়ালী’, যেখানে অভিনেত্রী কিরণ খের তার অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে জিতে নেন সেরা অভিনেতা(নারী) ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০০ সালেই মুক্তি পাওয়া আরেক ছবি ‘উৎসব’ এর পরিচালনার জন্য তিনি সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

২০০৩ সালে আগাথা ক্রিস্টির লেখা বই ‘'The Mirror Crack'd from Side to Side’ অবলম্বনে তিনি বানান চলচ্চিত্র ‘শুভ মহরত’, এতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা শর্মিলা ঠাকুর, নন্দিতা দাস প্রমুখ। সে বছরই বের হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র ‘চোখের বালি’, এতে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়।

২০০৪ সালে সালে তিনি ও’হেনরির লেখা ছোট গল্প ‘The Gift of the Magi’ অবলম্বনে তৈরি করেন তার পরের ছবি ‘রেইনকোট’। যেটি হিন্দীতে সেরা ফিচার ফিল্ম হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ২০০৫ সালে ব্রিটিশ ভারতে জমিদার প্রথার বিরুদ্ধে জেগে ওঠা বিদ্রোহ নিয়ে তৈরি হয় ঋতুপর্ণের পরবর্তী ছবি ‘অন্তর মহল’। এতে অভিনয় করেন অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ, অভিনেত্রী রুপা গাঙ্গুলী ও সোহা আলী খান।

২০০৭ সালে এ বের হয় তার পরের ছবি ‘দ্য লাস্ট লিয়ার’। একজন অবসরে যাওয়া থিয়েটার কর্মী যিনি শেক্সপিয়ারের নাটকে অভিনয় করতেন তাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এই ছবির কাহিনী। মূল চরিত্রে অভিনয় করেন বলিউড কিংবদন্তী অমিতাভ বচ্চন। এছাড়াও ছিলেন অভিনেতা অর্জুন রামপাল ও প্রীতি জিনতা।

২০০৮ সালে তার হাত ধরেই বের হয় অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র ‘খেলা’। একই বছরের শেষ দিকে মুক্তি পায় বিপাশা বসু ও প্রসেনজিৎ অভিনীত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’। ২০০৯ সালে ‘আবহমান’ ছবিটি পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

৩০ মে ২০১৩ সালে ৪৯ বছর বয়সে মারা যান এই পরিচালক। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। তবে মারা যাবার ঠিক আগেই তিনি তার শেষ ছবি ‘সত্যান্বেষী’র কাজ শেষ করেন।

চলচ্চিত্র পরিচালনা ছাড়াও ঋতুপর্ণ টিভিতে দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৭-২০০৪ পর্যন্ত কলকাতার বাংলা ফিল্ম ম্যাগাজিন ‘আনন্দলোক’ এর সম্পাদক ছিলেন।

সিনেমার বুননে যে মুন্সিয়ানার পরিচয় তিনি দিয়েছেন, যে আবেগ আর রুচিশীলতার আঁচড়ে তিনি ফুটিয়ে তুলতেন বাস্তবতার কঠিন সত্য গুলো তার কাজে- সেটা আসলেই বিরল বাংলা সিনেমায়। নারীদের জীবনের কষ্ট, যাতনা, ব্যথার কথা বার বার ফুটে উঠেছে তার সাহসী নির্মাণে।