ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

এক দিনের জন্যও আসেননি চিকিৎসক-নার্স, ভর্তি হননি রোগী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১  

করোনা চিকিৎসায় ২০ শয্যার হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয় ৯ মাস আগে। অন্যান্য সরঞ্জামের পাশাপাশি বসানো হয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টও। কিন্তু একজন রোগীও ভর্তি হননি। পড়ে আছে সব সরঞ্জাম। পদায়ন করা চিকিৎসক-নার্সরা আসেননি এক দিনের জন্যও। এ চিত্র ফেনীর সোনাগাজীর উপজেলার মঙ্গলকান্দি করোনা হাসপাতালের।
গত বছরের জুলাই মাসে ২০ শয্যার হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয় করোনার চিকিৎসার জন্য। ৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়।
হাসপাতালে কেন রোগী আসেন না, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য বিভাগের ভাষ্য, বাসিন্দারা করোনায় আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে আসতে চান না। আর জনপ্রতিনিধিদের দাবি, প্রয়োজনীয় জনবল না দেওয়ায় হাসপাতালটি চালু হলেও রোগীদের কোনো কাজে আসছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দেশে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ার পর উপজেলায় গঠিত করোনা নির্মূল কমিটির সিদ্ধান্তে গত বছরের ৪ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ শয্যা এবং ২০ শয্যার মঙ্গলকান্দি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়। এরপর কর্তৃপক্ষে সিদ্ধান্তে এটিকে করোনা হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়।
জুলাই মাসে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সাড়ে আট লাখ টাকা ব্যয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বসানো হয় হাসপাতালটিতে ১০ শয্যার সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও অবকাঠামো উন্নত করা হয়। এখন সব তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও উপজেলায় করোনা হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি তো দূরের কথা, চিকিৎসা নিতেও যাননি কেউ।
হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট পড়ে থাকায় এটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মতে, প্রতি মাসে অন্তত একবারও ব্যবহার না করলে পাইপলাইনে ময়লা ও কার্বন জমে এটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্র জানায়, সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনের সময় রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য তিন ধাপের প্রতি ধাপে একজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে নার্স, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ ৫ জন করে ১৫ জন চিকিৎসক-কর্মচারীর মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে রোগী ভর্তি না হওয়ায় ওই দায়িত্ব বণ্টন শুধু কাগজে থেকে যায়। তারা কেউ যোগ দেননি।
উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ডাকবাংলো এলাকায় এ হাসপাতাল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুত করা করোনা ইউনিটে কোনো রোগী নেই। গেটে ও কক্ষগুলোর দরজায় তালা লাগানো।
উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বাদল জানান, রোগীদের চিকিৎসায় কোনো ধরনের জনবল ও চিকিৎসক-কর্মচারী না দিয়ে শুধু সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপন করা সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি হাসপাতালটিতে জনবল দিয়ে সেবা কার্যক্রম চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, রোগীরা হাসপাতালে না এসে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। উপসর্গ থাকার পরও জনসাধারণের মধ্যে অসচেতনতার কারণে নমুনা দিতে চান না।
তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত করোনা হাসপাতালটি প্রস্তুত রাখা হবে। যখনই কোনো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চাইবেন, তাৎক্ষণিক তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন করোনা হাসপাতালের জন্য আলাদা জনবল দাবি করে বলেন, জনবল না দেওয়ায় এখন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এস এস আর মাসুদ রানা বলেন, রোগী বাড়লে জনবলের সমন্বয় করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু করা হবে।