‘একবার ডেঙ্গু হলে আর হয় না’ ধারণাটি কতটা সঠিক?
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০১৯
এখন ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব অনেক বেশি। আর এই জ্বর নিয়ে মানুষের ধারণারও কমতি নেই। তবে কোন ধারণাটি সঠিক আর কোনটি ভুল এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না। আর ভুলবশতই আবারো পড়তে হয় বিপদে। ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত ৫-৬ দিন থেকে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। আর এসময়ই প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্তক্ষরণসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। জ্বর কমে যাওয়ার পরবর্তী সময়টাকে বলা হয় ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’। কিন্তু অনেকে এখানেই ভুল করে বসেন। জ্বর কমে গেলে অনেক রোগী এমনকি ডাক্তারও মনে করেন রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু ডেঙ্গুজ্বরে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সময় আসলে এটাই। এ সময় সচেতন থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-
কি পরীক্ষা করা উচিত
এসময় বেশি টেস্ট না করে সিবিসি এবং প্লাটিলেট কাউন্ট করলেই যথেষ্ট। তবে জ্বরের একদম শুরুতে রক্ত পরীক্ষা করালে রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকবে এবং তা রোগ নির্ণয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। রোগী এমনকি ডাক্তারও মনে করতে পারেন, রিপোর্ট ভালো আছে, তাই আর কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই, যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। প্লাটিলেট কাউন্ট ৪ বা ৫ দিন পর কমতে শুরু করে, তাই জ্বর শুরুর ৪ থেকে ৫ দিন পর রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। আবার অনেকেই দিনে দুই তিনবার, এমনকি একই সঙ্গে একাধিক ল্যাবরেটরি থেকে প্লাটিলেট কাউন্ট করে থাকেন, যা অপ্রয়োজনীয়। ১ থেকে ২ দিনের জ্বরে ডেঙ্গু এনএস-১ এন্টিজেন এবং ৪ থেকে ৬ দিন পর এন্টি ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাগুলো রোগ শনাক্তকরণে সাহায্য করলেও চিকিৎসায় ভূমিকা নেই।
অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যাবে কি
ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগ। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। তবে ডেঙ্গুর সঙ্গে অন্য ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগও থাকতে পারে। তখন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। অনেকে মনে করেন ডেঙ্গুতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতি করে এবং তা পরিহার করতে হবে, যা ভুল ধারণা। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে কোনো ক্ষতি হবে না।
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে কি করণীয়
এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ, মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্যই এসময়টা ঝুঁঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গুজ্বরের মশাটি আমাদের দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে, মশা প্রজননের এবং বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে। তাই অবহেলা না করে আরো সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে মুক্তি সম্ভব।
রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রয়োজনীয়তা আছে কি
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হলেই রোগী এবং চিকিৎসক উভয়েই রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ যদি রক্তক্ষরণ না হয় এবং রোগীর রক্তের হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক থাকে, তবে রক্ত পরিসঞ্চালন করার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্লাটিলেট কি দিতেই হবে
ডেঙ্গু জ্বরের ৪ বা ৫ দিন পরে প্লাটিলেট কমতে থাকে, ২ থেকে ৩ দিন পর তা বাড়তে শুরু করে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্লাটিলেট পরিসঞ্চালনের প্রয়োজন হয় না। অনেক সময় প্লাটিলেট কমে গেলেই রোগী এবং চিকিৎসক প্লাটিলেট পরিসঞ্চালনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়। আবার, তাড়াহুড়ো করে প্লাটিলেট এমনকি রক্ত পরিসঞ্চালন করলে হেপাটাইটিস বিসি এইচআইভি ইত্যাদি সংক্রমণের ঝুঁঁকি থাকে।
একবার ডেঙ্গু হলে আর কি হয় না
এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ভিন্ন প্রজাতি বা সেরোটাইপ আছে, তাই চারবার ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডেঙ্গু ভাইরাসের যেকোনো একটি প্রজাতি দ্বারা একবার আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর ভবিষ্যতে সেই প্রজাতিটি দ্বারা আর আক্রান্ত হয় না। কারণ শুধু সেই প্রজাতিটিতে রোগীর আজীবন প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। কিন্তু বাকি তিনটি প্রজাতি দ্বারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁঁকি ঠিকই রয়ে যায়। তবে কেউ যদি পৃথকভাবে ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি প্রজাতি দ্বারা জীবনে চারবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে বাকি জীবনে আর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কথা নয়।
ডেঙ্গু কি ছোঁয়াচে রোগ
ডেঙ্গু কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। কাজেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে, একই বিছানায় ঘুমালে, একই তোয়ালে, একই গ্লাস কিংবা প্লেট ব্যবহার করলে অন্যরা এই রোগে আক্রান্ত হয় না। ডেঙ্গুজ্বরে রোগীর সঙ্গে সামাজিক মেলামেশায় বাধা নেই। তাই অবহেলা না করে ডেঙ্গু নিয়ে আরো সচেতন হতে হবে।
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
- নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
- দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
- বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
- আগুনে পুড়ল ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম
- কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার
- কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
- তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়াম্যানসহ ৩০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- হাজীগঞ্জে বৃদ্ধের টং দোকানে বিদ্যুতের মিটার থাকলেও জ্বলছেনা আলো
- মতলবে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যা : যশোর থেকে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- কচুয়ায় সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক আলোচনা সভা
- চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় দুই মরদেহ উদ্ধার
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- লাকসামে সফল খামারিদের মাঝে চেক ও পুরস্কার বিতরণ
- লালমাইয়ে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এক শিশু উপহার পেল সাইকেল
- দাউদকান্দিতে বাস চাপায় মা-মেয়েসহ ৪ জন নিহত
- পিটিয়ে নয়, ‘স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে শামীমের
- দেবিদ্বারে সরকারি খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ
- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৪০ সিটের শিশু ওয়ার্ডে ১২১ জন রোগী
- দেবিদ্বারে অর্ধগলিত কঙ্কাল উদ্ধার
- সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
- মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার
- সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম
- তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়াম্যানসহ ৩০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৪০ সিটের শিশু ওয়ার্ডে ১২১ জন রোগী
- সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- দেবিদ্বারে সরকারি খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ
- কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
- দেবিদ্বারে অর্ধগলিত কঙ্কাল উদ্ধার
- হাজীগঞ্জে বৃদ্ধের টং দোকানে বিদ্যুতের মিটার থাকলেও জ্বলছেনা আলো
- পিটিয়ে নয়, ‘স্ট্রোকে’ মৃত্যু হয়েছে শামীমের
- দাউদকান্দিতে বাস চাপায় মা-মেয়েসহ ৪ জন নিহত
- চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় দুই মরদেহ উদ্ধার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- লাকসামে সফল খামারিদের মাঝে চেক ও পুরস্কার বিতরণ
- মতলবে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যা : যশোর থেকে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- কচুয়ায় সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক আলোচনা সভা
- আগুনে পুড়ল ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান