ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

এমপির উদ্যোগে দালাল মুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯  

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দালাল মুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লা-২ হোমনা-তিতাস আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ এর দিক নির্দেশনায় এবং হাসপাতালকে দালালমুক্ত করার ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এজন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রোগী ও এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,হাসপাতালে কোনো দালাল নেই এবং হাসপাতালের পরিবেশ অনেকটাই অন্যান্য দিনের চেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশ। দালাল মুক্তকরণে পুলিশের সহযোগিতাও নেয়া হয়েছে এবং পোশাকধারী পুলিশসহ সাদা পোশাকে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে।

গত ১৪ নভেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল দালালমুক্ত করার বাস্তবায়ণের জন্য এবং ওষুধ ব্যবসায়ীরা যাতে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ ও ডাক্তার প্রেসক্রিপসন করা ওষুধ বদল করে অন্য ওষুধ বিক্রি করতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ফার্মেসি মালিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ উদ্যোগ নেওয়ার পূর্বে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ কর্মরত প্রতিনিধিগন হাসপাতাল চলাকালীন সময়ে ডাক্তারদের চেম্বারের ভিতরে ও এবং জরুরী বিভাগে অবস্থান করে ভীড় জমাতো। ডাক্তাররা রোগীদের প্রয়োজনে টেস্ট দিলে তারা প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি এবং রোগীদের বিরক্ত করতো। অনেক সময় রোগীদেরকে জোর করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে হয়রানি এবং দুর্ব্যবহার করতো। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ও কর্মরত প্রতিনিধিগন মারামারি করে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ও হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করতো। এতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ডাক্তারদের অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে এবং রোগীরাও বিভিন্ন বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত প্রতিনিধিগন কেও হাসপাতাল চলাকালীন সময়ে ভিতরে ও ঢুকতে নিষেধ করেছেন, ফলে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিগন ও অফিস চলাকালীন সময়ে ভিতরে প্রবেশ করে না। প্রাইভেট এম্বোলেন্স মালিকদের কেও ভিতরে রাখতে নিষেধ করার পর ভিতরে এম্বোলেন্স রাখতে দেখা যায় নি।

রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের ভিতের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন না থাকায় পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে। আমরা শান্তিমতো চিকিৎসা সেবা নিতে পারছি এবং ডাক্তাররাও ঠান্ডা মাথায় ঠিকমতো চিকিৎসা দিতে পারছে এবং আমরা নিজেদের ইচ্ছামতো দামাদামি করে ও পছন্দ মতো জায়গায় গিয়ে শান্তিমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারছি।

চিকিৎসকসহ জনবল সঙ্কট থাকার পরও বেড়েছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা। প্রতিদিন আউটডোরে আসায় প্রায় ৪০০-৫০০ রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন এবং জরুরী বিভাগেও বেড়েছে  চিকিৎসা সেবার মান। চিকিৎসকসহ জনবল সঙ্কটের দিকে নজর দেওয়ার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষকে আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহীদ উল্লাহ্ বলেন- অনেক দিন ধরে হাসপাতালকে দালালমুক্ত করার চেষ্টা ছিল। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় তা করতে সক্ষম হয়েছি এবং এ অবস্থা যাতে সব সময় বজায় থাকে সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

তিনি আরোও বলেন প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক অনেক কম থাকার পরও আমরা নিরলস ভাবে বাড়তি সময় দিয়ে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন- আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল কে সর্ব প্রথম দালাল মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল, সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ এর দিক নির্দেশনায় এবং উনারএকান্ত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় আস্তে আস্তে তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতায় তা পুরোপুরি মুক্ত করতে এবং সফল হতে পারবো। প্রতিদিন আমি দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি প্রায় ৭০-৮০জনের মতো টিকেটের রোগী দেখে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।