এ্যাম্বুলেন্সটি চালক না থাকায় বিকলের পথে

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিক ও শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি চালক না থাকায় বিকলের পথে পড়ে আছে। গত প্রায় আড়াই বৎসর যাবৎ এ্যাম্বুলন্সেটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার কারনে যান্ত্রিক ক্রটিসহ বিভিন্নœ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগিরা। কবে নাগাদ চালকের সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

 জানা গেছে, গত ৫ বছর পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি  অচলাবস্থায় হাসপাতাল গ্যারেজে পড়ে ছিলো। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যসেবা জনগনের দৌরগোড়ায় নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। যা ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর স্থানীয় সাংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু চালকের অভাবে গত ২ বছর তিন মাস যাবৎ ৪ লক্ষ জনগোষ্টির কোন কাজে আসছেনা এ্যাম্বুলেন্সটি।

৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জেলার মধ্যবর্তী স্থান ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এবং রেলপথ, স্থলপথ ও নদীপথের সংযোগ থাকার কারনে পাশ্ববর্তী উপজেলা কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও চাঁদপুর সদর এবং ল²ীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার একাংশের জনগণ স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। কিন্তু চালকের অভাবে এ্যাম্বুলেন্সটি অচল থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগিরা। আর এই সুযোগে প্রাইভেট গাড়িগুলোর মালিকরা সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম সোয়েব আহমেদ চিশতী নিজেও স্বীকার করে বলেন, জরুরি মুহূর্তে রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়াটা কষ্টদায়ক।

আমি যোগদানের পরই অ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের জন্য স্থানীয় সাংসদসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।