ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক বরখাস্ত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯  

দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুল হাসিবকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। 

বেবিচকের চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৮৮-এর ৪৫(১) ধারার বিধান অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করেন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বেবিচককে নির্দেশ দেয়া হয়, যার প্রেক্ষিতে বেবিচক বিভাগীয় মামলা করে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক হিসেবে মো. আমিনুল হাসিব নিয়োগ পান ২০১২ সালে ৪ অক্টোবর। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কক্সবাজার জেলায় ০৪/২০১৫-২০১৬ নং ভূমি অধিগ্রহণ কেসে ৬৯ কোটি ২৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা গত ২৩ মের মধ্যে জমা দিতে চিঠি পাঠান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে মো. আমিনুল হাসিবের দায়িত্ব ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ অর্থ জেলা প্রশাসকের তহবিলে জমা দেয়া। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে অর্থ জমা দিতে ব্যর্থ হন, যার পরিপ্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ কেসটি বাতিল হয়ে যায়। 

প্রকল্পটি পুরনো ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় হওয়ায় ক্ষতিপূরণ বাবদ জমির দেড় গুণ অর্থ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু অধিগ্রহণ কেসটি বাতিল হওয়ায় এখন সেটি ২০১৭ সালের আইনের আওতায় সম্পন্ন করতে হবে। এ কারণে জমির মূল্য তিন গুণ এবং এ সময়ে ওই এলাকায় জমির বর্ধিত মূল্যের হারে পরিশোধ করতে হবে। এজন্য সরকারের কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে। 

তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, মো আমিনুল হাসিব স্থানীয় ভূমি মালিক ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কিছু কর্মচারীর সঙ্গে মিলে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র করেছেন। প্রকল্প পরিচালকের ব্যক্তিগত ব্যর্থতায় ভূমি অধিগ্রহণ কেসটি বাতিল হলেও দীর্ঘ চার মাসেও ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর নতুন করে আবেদন করা হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) একটি কম্পোন্যান্ট হিসেবে বিমানবন্দরের ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি। প্রকল্প পরিচালকের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা, অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে এ প্রকল্পের কাজে মারাত্মক ত্রুটি হয়েছে। তার ব্যক্তিগত অদক্ষতা ও ব্যর্থতায় সরকারি কার্যক্রম ধীরগতি হয়েছে এবং মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি মারাত্নকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।