কনটেইনারে মালয়েশিয়ায় যাওয়া সেই রাতুল আর নেই

চট্টগ্রাম থেকে কনটেইনারে মালয়েশিয়া চলে যাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের সেই প্রতিবন্ধী কিশোর মো. রাতুল ইসলাম ফাহিম আর বেঁচে নেই। শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।

১৪ বছর বয়সী রাতুল কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার ছেলে। পেশায় দিনমজুর ফারুকের তিন ছেলের মধ্যে রাতুল সবার বড়।

রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, আমার ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আমরা সবাই ধান নিয়ে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুপুরে রাতুল একা একা গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়।

মনোহরগঞ্জ থানার ওসি সফিউল আলম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছেলেটি একা একা পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে। ছেলেটি সাঁতার জানতো না বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

গত ১২ জানুয়ারি ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ নামে একটি জাহাজে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। ১৬ জানুয়ারি নাবিকরা মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে মানুষের শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানান তারা। ১৭ জানুয়ারি জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে ঐ কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। রাতুল অভিবাসন প্রক্রিয়া শেষে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরদিন সন্ধ্যায় সে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে।