ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

করোনা সংকটেও থেমে নেই পদ্মা সেতুর কাজ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২০  

জমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট, খুঁটি নির্মাণের পর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে এখন চলছে খুঁটির ওপর অবকাঠামো নির্মাণকাজ। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পলাশপুরে বসানো হয়েছে প্রথম ভায়াডাক্ট বা উপরি কাঠামো। সম্প্রতি পলাশপুর গিয়ে দেখা গেছে, ৩৮৩ ও ৩৮৪ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়েছে এ ভায়াডাক্ট। কেরানীগঞ্জের পানগাঁও, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কুচিয়ামুরা, শ্রীনগর, মাওয়া হয়ে যশোরমুখী রেলপথের বিভিন্ন অংশে এগিয়ে চলছে নির্মাণকাজ। নভেল করোনোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর চীনে আটকে পড়েন প্রকল্পে যুক্ত ১৫০ চীনা কর্মকর্তা ও কর্মী। অন্য ৭৫০ চীনা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধির আওতায় এনে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ের কাজীরগাঁও এবং পাশের গ্রামগুলোতে প্রকল্প এলাকায় সমতল থেকে মাটি ভরাট করে উঁচু করা হয়েছে। এর ওপর তৈরি হচ্ছে পথ। এবড়োখেবড়ো পথে বাসে করে যেতে একটু পর পরই দেখা যাচ্ছিল সারি সারি খুঁটি। পলাশপুরে কথা হয় প্রকল্পের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, সেখানে স্থাপন করা হয়ে গেছে প্রকল্পের প্রথম উপরি কাঠামো। ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের ২৩ কিলোমিটার হবে খুঁটির ওপর। ঠিকাদারির দায়িত্ব পালন করছে চীনের ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড’।

ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিভৃত গ্রামের পথে পথে এ রেলপথের কাঠামো দৃশ্যমান। কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে প্রকল্প এলাকা ধরে যেতে যেতে চোখে পড়ল ভূমি উন্নয়নের কাজ। তবে মুন্সীগঞ্জের পলাশপুরে খুঁটির ওপর রেলপথের অবকাঠামো নির্মাণকাজ বেশি দৃশ্যমান।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, খুঁটির ওপর ২৩ কিলোমিটার রেলপথে বসানো হবে ৪১৮টি ভায়াডাক্ট।

কর্মকর্তারা জানান, পলাশপুর অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা। সেখানে একাধিক সেতু রয়েছে। আছে ধলেশ্বরী নদীর শাখাসহ অন্যান্য নদী। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী বলেন, প্রথম উপরি কাঠামো বসানো হয়েছে। এটা অনেক কঠিন কাজ ছিল। তিনি জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতির মধ্যে চীনে আটকে পড়া ১৫০ কর্মীকে ধাপে ধাপে নিয়ে আসা হবে।

একদিকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের খুঁটি বসানোর কাজ চলছে, অন্যদিকে জাজিরা অংশেও মূল পদ্মা সেতুর ওপর চলছে রেলপথ বসানোর কাজ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের জুন মাসে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-যশোর রেলপথে রেলস্টেশন থাকবে ১৪টি। এর জন্য অধিগ্রহণ করতে হবে ২০০ একর জমি। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জেলায় জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ। অন্য পাঁচ জেলায়ও জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রকল্পকাজের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। সার্বিক কাজ হয়েছে ২৪ শতাংশ। প্রকল্পে ডাবল রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বর্তমানে নির্মাণ করা হচ্ছে সিংগেল পথ।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও ্যালাইনমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে শতভাগ। বাঁধ ও নকশার কাজ শেষ হয়েছে ৮৯.৫ শতাংশ, টেস্ট পাইলের নকশা হয়েছে ৯২.৮৫ শতাংশ, কালভার্টের নকশার কাজ ৬৩.৬ শতাংশ, বাঁধ নির্মাণের কাজ ২৫.২ শতাংশ, টেস্ট পাইলের কাজ ৬০.৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।

কমলাপুর থেকে গেণ্ডারিয়া স্টেশন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ডুয়াল গেজ, দ্বিতীয় অংশে গেণ্ডারিয়া থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার ব্রড গেজ, তৃতীয় অংশে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ব্রড গেজ, চতুর্থ অংশে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে।