কুকুর সম্পর্কে ইসলাম ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের নির্দেশনা
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
ইসলাম মনে করে, এই পৃথিবীতে মানুষের পরই প্রাণিজগতের স্থান। প্রাণিজগতকে পৃথক জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিয়ে কোরআন বলছে,
وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ وَلاَ طَائِرٍ يَطِيرُ بِجَنَاحَيْهِ إِلاَّ أُمَمٌ أَمْثَالُكُم مَّا فَرَّطْنَا فِي الكِتَابِ مِن شَيْءٍ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ يُحْشَرُونَ
‘আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই একেকটি শ্রেণি। আমি কোনো কিছু লিখতে ছাড়িনি। অতঃপর সবাই স্বীয় প্রতিপালকের কাছে সমবেত হবে।’ (সূরা: আনআম, আয়াত: ৩৮)।
সে হিসেবে বলা যায়, কুকুর আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি। নিম্নে কুকুর সম্পর্কে ইসলাম ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের নির্দেশনা উল্লেখ করা হলো-
(এক) শিকারের উদ্দেশ্যে, ফসল হেফাজতের উদ্দেশ্যে, পাহারাদারির জন্য, ছাগল-ভেড়া ইত্যাদির হেফাজতের লক্ষ্যে, ঘরবাড়ি, দোকান ও অফিস পাহারার জন্য, অপরাধের উৎস সন্ধান ও অপরাধীকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে কুকুর লালন-পালন করা বৈধ। (ফতোয়াতে মাহমুদিয়া : খ. ১৮, পৃ. ২৬৪/ ফতোয়ায়ে আলমগিরি : খ. ৪, পৃ. ২৪২)
(দুই) শখ করে ঘরে কুকুর রাখা, মানুষের চেয়ে কুকুরের যত্ন বেশি নেয়া, কুকুরের সঙ্গে মানবীয় সম্পর্ক স্থাপন করা ইসলামে নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু পাহারা অথবা শস্যক্ষেত পাহারা দেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর লালন-পালন করে, প্রতিদিন ওই ব্যক্তির দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়।’ (মুসলিম : হাদিস ১৫৭৫; তিরমিজি : হাদিস ১৪৮৭)।
অন্য হাদিসে আছে, ‘এক কিরাত হলো, উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ।’ (মুসনাদে আহমদ: হা. ৪৬৫০)।
(তিন) আমাদের হানাফি মাজহাব মতে, কুকুরের শরীর নাপাক নয়। তাই কুকুর কারো শরীর বা কাপড় স্পর্শ করলে তা নাপাক হবে না। তবে কুকুরের লালা নাপাক। কুকুর মুখ দিয়ে কারো জামা টেনে ধরলে যদি কাপড়ে লালা লেগে যায়, তবে কাপড় নাপাক হয়ে যাবে; অন্যথায় নাপাক হবে না। (আল-বাহরুর রায়েক : ১/১০১; ফতোয়াতে হিন্দিয়া : ১/৪৮; আদ্দুররুল মুখতার : ১/২০৮)
(চার) ইসলামসহ আসমানি সব ধর্ম মতে কুকুরের গোশত খাওয়া হারাম।
(পাঁচ) শিকারির জন্য রাখা কুকুর, পাহারার জন্য রাখা কুকুর মেরে ফেলা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম বা অবৈধ। পাগলা কুকুর, কষ্টদায়ক কুকুর মেরে ফেলা সব আলেমের মতে বৈধ। সাধারণ অবস্থায় থাকা কুকুর নিধন করা, মেরে ফেলা ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়। (সূত্র : কুয়েতভিত্তিক ইসলামি বিশ্বকোষ ‘আল-মওসুআতুল ফিকহিয়্যা আল-কুয়েতিয়্যা : খ. ৩৫, পৃ. ১৩২-১৩৩)।
(ছয়) সম্ভব হলে কুকুরকে খাবার দেয়া, পানি দেয়া, কুকুর কোথাও পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করা ইসলামের দৃষ্টিতে সওয়াবের কাজ। বিশুদ্ধ হাদিসে কুকুরকে পানি খাওয়ানোর কারণে ব্যভিচারী নারীকেও জান্নাত দান করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একবার এক পিপাসাকাতর কুকুর কূপের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। পিপাসায় তার প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী তা দেখতে পায়। সে নিজের পায়ের মোজা খুলে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এ কারণে তার অতীত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি: ৩৪৬৭)।
ঘরে কুকুর রাখা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ কুকুরের ব্যাপারে ইসলামের কঠোর নির্দেশ কেবল এটাই যে শখ করে ঘরে কুকুর রাখা নিষেধ। হাদিস শরিফে আছে, ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।’ (বুখারি শরিফ : হা. ৫৫২৫)।
আর কুকুরের লালা যেহেতু নাপাক, তাই কোনো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে তা তিন বা সাতবার ধৌত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশের পেছনে কয়েকটি যুক্তি আছে-
প্রথমত, কুকুরের মধ্যে শয়তানের প্রভাব বেশি। তাই আজানের সময় কুকুর আওয়াজ করে।
দ্বিতীয়ত, কুকুর মনিবভক্ত হলেও তার মধ্যে খারাপ স্বভাব বেশি। যেমন: অন্যকে সহ্য না করা, সব সময় খেলাধুলা-দৌড়ের ওপর থাকা, পচা ও নিকৃষ্ট খাবার খাওয়া, যেখানে-সেখানে অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকা, মানুষকে কষ্ট দেয়া, খাবার দেখলে লালায়িত হওয়া ইত্যাদি। ‘সঙ্গীর প্রভাবে মানুষ প্রভাবান্বিত হয়’- এর আলোকে কুকুরের সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
তৃতীয়ত, কুকুর যাতে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, এ জন্য কুকুরের সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। কেননা কুকুরের নখ ও মুখে বিষাক্ত জীবাণু রয়েছে। কুকুরের ওপর আস্থা রাখা যায় না। যেকোনো সময় সে মানুষের ক্ষতি করতে পারে। এতে জলাতঙ্কসহ নানা রোগ হতে পারে।
চতুর্থত, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, নিজ ঘরে, বিছানায় কুকুর রাখলে অ্যালার্জি, ভাইরাস সংক্রমণসহ বিভিন্ন বিপত্তি ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. ইউসুফ কারজাভি তাঁর ‘আল-হালালু ওয়াল হারামু ফিল ইসলাম’ নামের বইয়ে কুকুর নিয়ে জার্মান ও লন্ডনের বিভিন্ন গবেষকের গবেষণা উল্লেখ করেছেন।
তারা কুকুরের সঙ্গ মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে অভিমত দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন: স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিচার করলে কুকুর পালা ও তার সঙ্গে হাস্যরসকরণে যে বিপদ মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনের ওপর ঘনীভূত হয়ে আসতে পারে, তাকে সামান্য ও নগণ্য মনে করা কিছুতেই উচিত হতে পারে না।
অনেক লোক নিজের অজ্ঞতার কারণে ভারি মাসুল দিতে বাধ্য হয়। তার কারণ এই যে কুকুরের দেহে এমন এমন জীবাণু রয়েছে, যা এমন রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা স্থায়ী এবং যা চিকিৎসা করে সারানো যায় না। কত লোক যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন দিতে বাধ্য হয় তা গুনে শেষ করা যায় না।
এসব জীবাণু মানুষের কলিজায় প্রবেশ করে। আর সেখানে নানাভাবে আত্মপ্রকাশ করে। তা অনেক সময় ফুসফুসে, ডিম্ব, তিল্লি, গুর্দা ও মস্তকের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন এগুলোর আকৃতি অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এমন অবস্থা দেখা দেয় যে বিশেষজ্ঞরাও তা ধরতে ও চিনতে অক্ষম হয়ে পড়েন।
যা-ই হোক, এ জীবাণুর দরুন যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তা দেহের যে অংশেই হোক না কেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর ও মারাত্মক। এসব জীবাণুর কোনো চিকিৎসা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। এ করণে চিকিৎসা-অযোগ্য রোগের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পূর্ণশক্তিতে চেষ্টা করতে হবে। এ বিপদ থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে।
জার্মান চিকিৎসাবিদ নুললর বলেছেন, কুকুরের জীবাণুর দরুন মানবদেহে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তার সংখ্যা শতকরা ১-এর কম নয় কিছুতেই। আর কোনো কোনো দেশে শতকরা ১২ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, এর জীবাণুগুলোকে কুকুরের দেহ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ করে রাখা, তাকে ছড়িয়ে পড়তে না দেওয়া।
আশ্চর্য হলেও সত্য যে বিভিন্ন দেশে কুকুরের প্রতি ধনীরা যে উদারতা দেখায়, গরিব মানুষের প্রতিও তেমন উদারতা দেখানো হয় না। কুকুর লালন-পালনের জন্য যে মানুষকে কর্মচারী হিসেবে রাখা হয়, তার জন্যও এত টাকা খরচ করা হয় না, কুকুরের জন্য যা খরচ করা হয়। প্রশ্ন জাগে, নতুন সভ্যতা কি তাহলে মানুষকে মূল্যহীন করে তুলছে?
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু
- একক প্রার্থী দিতে সমঝোতা বৈঠক, আলোচনায় ৩ কোটি টাকা
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- ভাসানচরে বাগানে পড়েছিল রোহিঙ্গার রক্তাক্ত লাশ
- সরাইলে মাটিকাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, আটক ২০
- এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ভাসছিল শিশুর মরদেহ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার যাত্রী নিহত
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯ উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- হাজীগঞ্জে প্রতিবন্ধীর বাগানের বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ কর্তনের অভিযোগ
- রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- চাঁদপুরে পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তা বদলি
- সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনেও সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন ডা.দীপুমনি
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলব উত্তরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ
- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
- মুরাদনগরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- দাউদকান্দিতে নির্দেশনা অমান্য করে ওষুধের দোকান খোলা
- সিএনজি ভাড়া তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের নির্বাচন করতে মানা-প্রধানমন্ত্রী
- বরুড়ায় পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
- অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে সেবা দিতে পারবেন না নিবন্ধিত চিকিৎসকরা
- লালমাইয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- গণমানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফেসবুকে লাইভ করায় চাকরি হারালেন এসপি
- মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- ফলের আড়তের লকার ভেঙে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লুট
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- কালোবাজারে ট্রেনের ৮৫ টাকার টিকিট ৫০০ টাকা
- লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত হল কিচ্ছার আসর
- দাউদকান্দিতে বিধিবহির্ভূতভাবে চালানো ওষুধের দোকান ১১ বছর পর বন্ধ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলবে সালিশ বৈঠকে সাবেক মেম্বারকে ঘুষি দিয়ে হত্যা
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ
- মতলবে দম্পতির মনোনয়নপত্র দাখিল, স্বামীর বিরুদ্ধে যা বললেন স্ত্রী
- কুমিল্লায় অস্ত্র-কার্তুজসহ যুবক গ্রেফতার
- ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচনে ১২ জনের মনোনয়নপত্র জমা
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- চাঁদপুরে ব্যাভিচারের মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
- তিতাসে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি
- চান্দিনা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাই