ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লা টাউন হল নিয়ে গণশুনানি হাস্যকর: এমপি সীমা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২০  

কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে অবস্থিত বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন (টাউন হল) পুরাকীর্তি হবে, নাকি হবে না—এ নিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত গণশুনানিকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা।

তিনি বলেন, ‘টাউন হল ভেঙে নতুন ভবন করার পক্ষে হাস্যকর গণশুনানিতে যে ৩৭ জন বক্তব্য দিয়েছেন, তারা সবাই এমপি বাহাউদ্দিনের অনুসারী ছিলেন। কুমিল্লার কোনও সাধারণ নাগরিক ওই গণশুনানিতে কথা বলার সুযোগ পাননি। কারণ, তিনি জানেন এমপির অনুসারীদের বাইরে কুমিল্লার ৬০ লাখ মানুষ এই ঐতিহ্যবাহী টাউন হল ভেঙে ফেলার পক্ষে নয়। তারা টাউন হলকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের পক্ষে। কারণ, এই টাউন হল কুমিল্লার ঐতিহ্য বহন করে।’ 

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকায় মডার্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কুমিল্লার ঐতিহ্যের আইকন টাউন হল নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিশ্বাসী। এই ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য টাউন হলের জায়গায় ব্যবসায়িক কারণে নির্মিত বহুতল সুপার মার্কেট ভেঙে সেখানে আধুনিক কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

গণশুনানিতে মতামত, স্বাক্ষর গ্রহণ ও মানববন্ধনের প্রসঙ্গ টেনে এমপি সীমা বলেন, ‘সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিনের পছন্দের লোকজনের তালিকা করে বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং বাক্সে মতামত ফেলা হয়েছে। এছাড়া মানববন্ধনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার নেতাদের ব্যানার নিয়ে গণশুনানি ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়েছে, যা অনভিপ্রেত। বাসে বাসে বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম থেকে মানুষ ভাড়া করে এনেছে সড়ক বন্ধ করে ব্যানার হাতে দাঁড়ানোর জন্য। সেখানে শুধু ওই এমপির অনুসারী লোকজনই ছিলেন। এছাড়া ১৯৯৫ সাল থেকে টাউন হলের কমিটিতে ঘুরেফিরে ওই এমপির অনুসারীরা রয়েছেন। ব্যবসায়িক স্বার্থেই সেখানে আধুনিক টাউন হল কমপ্লেক্স নির্মাণের নামে ঐতিহ্যের টাউন হল ভেঙে ফেলার তোড়জোড় চালানো হচ্ছে।’

টাউন হলসীমা বলেন, ‘গণশুনানিতে এমপি বাহাউদ্দিন বলেছেন, “বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর এক টাকা নিয়ে টাউন হলের জমি দিয়েছেন, কুমিল্লাবাসীর অর্থে এটা নির্মিত হয়েছে, তাই ভারত সরকার চিঠি দিয়ে টাউন হল পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারবে না”—এসব কথা বলে তিনি ত্রিপুরার রাজা মানিক্য বাহাদুরের প্রতি অবজ্ঞা করেছেন।’

এমপি সীমা জেলার মন্ত্রী, অন্যান্য সংসদীয় আসনের এমপি ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে টাউন হলের ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা খাদেম মো. ফিরোজ, পাপন পাল, মো. শাহজাহান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৮৮৫ সালে তৎকালীন ত্রিপুরার রাজা বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর কুমিল্লা শহরের কেন্দ্রস্থলে দৃষ্টিনন্দন টাউন হল ভবন নির্মাণ করেন। গত ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় টাউন হলের ভবন ভেঙে সেখানে আধুনিক মানের টাউন হল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে এ নিয়ে সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ভবন পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে দেশের খ্যাতনামা ৫০ জন বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘টাউন হল পুরাকীর্তি হবে কি হবে না’ তা নিয়ে প্রতিবেদন দিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মান্নান ইলিয়াসকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের কমিটি করে। ওই কমিটি গত ৯ ডিসেম্বর টাউন হল সরেজমিন পরিদর্শনের পর বৈঠক শেষে ১৯ ডিসেম্বর গণশুনানির তারিখ ঘোষণা করে।