কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্মুখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল গেইটের পাশে অবৈধ স্থাপনা দীর্ঘ দুই যুগ পর উচ্ছেদ করেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন। এতে আনন্দিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। জানা যায়, ১৯৬২ সালে কুমিল্লা কোটবাড়িতে ২৭ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একমাত্র কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রায় গত দুই যুগ ধরে এ প্রতিষ্ঠানের সামনে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দোকান-পাট। কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণের উদ্যোগ নিলেও সফল হতে পারেনি। গত ৭/৮দিন পূর্বে সড়ক সম্প্রসারণ ও ড্রেনেজের কাজ করতে গিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণ করে। এতে ইনস্টিটিউটের সৌন্দর্য ফিরে এসেছে। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রিহান উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের ১ম স্থান অধিকারী ইনস্টিটিউটটি সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য, শৃংখলা, পড়ালেখার মানসহ সামগ্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করি। ক্যাম্পাসের চতুর্পার্শ্বে কিভাবে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে তা আমার জানা ছিল না। যেহেতু অপসারিত হয়েছে কোন অবস্থাতেই যেন আর গড়ে না উঠে সেটাই আমরা চাই। স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর মো. ফজল খান জানান, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে দিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ড্রেন করতে অবৈধ স্থাপনাগুলো কুমিল্লা জেলা পরিষদের সহযোগিতা নিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে ইনস্টিটিউটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, আমার এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করা হউক। এক্ষেত্রে আমার সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবো। তিনি বলেন, অনেকে নবনির্মিত ড্রেনের উপর স্থাপনা তৈরি করতে প্রস্তুত হয়ে বসে আছে। এটা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবো না। আমরা ড্রেনের উপর দিয়ে পথচারীদের হেটে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেবো। তাহলে যান চলাচলে বিঘœ ঘটবে না। কুপই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আলম সাকিব জানান, অবৈধ স্থাপনার কারণে প্রতিবছরই সড়ক দুর্ঘটনা হতো। এসব অবৈধ স্থাপনার দখলদারিত্ব নিয়ে কিছু দিন পরপরই সমস্যা তৈরি হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে থাকতো। উচ্ছেদের কারণে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ফিরে এসেছে। এতে শিক্ষার্থীরা চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। উক্ত স্থানে আর অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে দেয়া হবে না।