ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লা ময়নামতি জাদুঘর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৯  

শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে কুমিল্লার অতীত ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। খাদি কাপড় এবং রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত এই জেলাটি এক সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিলো। অতীত কাল হতেই একে ঘিরে গড়ে ওঠে সমৃদ্ধ এক জনপদ। এই অঞ্চলের এই সমৃদ্ধির সাক্ষ্য পাওয়া যায় এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা প্রাচীন পুরাকীর্তির। এইসব পুরাকীর্তির খননকালে মাটির নিচ হতে উদ্ধার করা হয় মূল্যবান পুরাতত্ত্ব সামগ্রীর। এইসব পুরাকীর্তির সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য এখানে গড়ে তোলা হয় ময়নামতি জাদুঘর।
১৯৬৫ সালে কুমিল্লা কোটবাড়ির শালবন বিহারের দক্ষিণ পাশে শালবনকে সামনে রেখে পশ্চিমমুখী এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়। এই জাদুঘরে ভবদের মহাবিহার, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবানমুড়া, ইটাখোলা মুড়া, আনন্দ বিহার, রানীর বাংলা ও ভোজ রাজার বাড়ি বিহারের খননকালে প্রাপ্ত নানা মূল্যবান পুরাতত্ত্ব এখানে জায়গা করে নেয়।
পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে জাদুঘরটিকে বর্ধিত করা হয় এবং এটি এখন ইংরেজি T আকৃতি ধারণ করে। এখানে মোট ৪২ টি আঁধার রয়েছে যেগুলোয় পুরাকীর্তি গুলো প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খনন হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষের ভূমি নকশা, ধাতু লিপি ফলক, প্রাচীন মুদ্রা, মৃন্ময় মুদ্রক-মুদ্রিকা, পোড়া মাটির ফলক, ব্রোঞ্জ মূর্তি, পাথরের মূর্তি, লোহার পেরেক, পাথরের গুটিকা, অলংকারের অংশ এবং ঘরে ব্যবহৃত মাটির হাড়ি পাতিল এখানে প্রদর্শিত রয়েছে। এছাড়া আছে কিছু পাথর ও ছোট বড় ব্রোঞ্জ মূর্তি। জাদুঘরে প্রদর্শনের উল্লেখযোগ্য পাথর ও ব্রোঞ্জ মূর্তি গুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের পাথরের দণ্ডায়মান লোকোত্তর বুদ্ধ মূর্তি, ত্রি বিক্রম বিষ্ণুমূর্তি, তারা মূর্তি, মরীচি মূর্তি, মঞ্জুরের মূর্তি, পার্বতী মূর্তি, হরগৌরী মূর্তি, নন্দী মূর্তি, মহিষমর্দিনী মূর্তি, মনসা মূর্তি, গণেশ মূর্তি, সূর্য মূর্তি, হেরুক মূর্তি এবং ব্রোঞ্জের বজ্রসত্ত্ব মূর্তি।
এছাড়াও এই পুরাকীর্তির জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, পোড়ামাটির ফলক, কাঠের কাজের নিদর্শন, মৃৎপাত্র ও প্রাচীন হস্ত লিপির নানা পাণ্ডুলিপি। এতো সব মূল্যবান এবং ঐতিহাসিক পুরাকীর্তির পাশাপাশি এখানে সংরক্ষিত আছে প্রায় ৩৭০ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের তৈরি বিশাল এক ঘণ্টা।