ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লা-৭: আসন ধরে রাখতে চায় আশরাফ, পুনরুদ্ধারে মরিয়া রেদোয়ান

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

স্বাধীনতার পর থেকে কুমিল্লার চান্দিনা আসনটি আঁকড়ে ধরে রেখেছে অধ্যাপক আলী আশরাফ এবং ড. রেদোয়ান আহমেদ। গত দশটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৮টি সংসদে চান্দিনার প্রতিনিধিত্ব করে আসছে হেভিওয়েট ওই দুই নেতা। তারা প্রত্যেকেই চারবার করে নির্বাচিত হয়ে কেউ হয়েছেন ডেপুটি স্পিকার, আবার কেউ হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

আর ১০টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন ৬ বার। যার চারটিতে রেদোয়ান আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন। স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদ নির্বাচন থেকে চলতি একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সবগুলোতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ।

ছাত্রলীগ রাজনীতির মধ্য দিয়েই রাজনীতি শুরু করেছেন অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নৌকায় পাল তোলেন। তারপর থেকে ৮টি সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে চান্দিনা আসনে বিভিন্ন প্রার্থীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় ও ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চতুর্থবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক পদসহ মহান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের পদও পেয়েছেন। এবার পঞ্চম বারের মত নির্বাচিত হয়ে আসনটি ধরে রাখতে চাইছেন অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ।

অপরদিকে, ১৯৭৯ সালে ধানের শীষ প্রতীকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ড. রেদোয়ান আহমেদ। ১৯৮৬ সালে নাঙ্গল প্রতীকে দ্বিতীয় বার, ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তৃতীয়বার এবং ২০০১ সালে আবারও ধানের শীর্ষ প্রতীকে চতুর্থবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান তিনি।

২০০৬ সালে ড. রেদোয়ান আহমেদ বিএনপি ছেড়ে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ এর সঙ্গে নতুন দল এলডিপি গঠন করেন। পরবর্তীতে পান ওই দলের মহাসচিব পদ। এলডিপি এখন বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোটের শরীক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. রেদোয়ান আহমেদ চান্দিনা আসন থেকে বিশ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান। ২০০৫ সালের পর দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর ক্ষমতাচ্যুত থেকে পঞ্চমবারের মত আসনটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ড. রেদোয়ান আহমেদ।

দুই প্রার্থীই নির্বাচনী বিজয়ী হতে চালাচ্ছেন জোর তৎপরতা। এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, পথসভা ও জনসভার মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন।

গত ১০টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি ও ড. রেদোয়ান আহমেদ চারবার করে নির্বাচিত হওয়া ছাড়া বাকি ২টি সংসদ নির্বাচনে বিজয় হয় ফ্রিডম পার্টি। ওই ২টি সংসদ নির্বাচনের ১৯৮৮ সালে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী খন্দকার কর্ণেল রশিদ এর বড় ভাই খন্দকার আব্দুল মান্নান ফ্রিডম পার্টি থেকে এবং ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খন্দকার কর্নেল রশিদ ফ্রিডম পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও ৫ ফেব্রুয়ারির ওই নির্বাচনটি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।