ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ টাকার টিকিট ১০০ টাকা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২২  

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ব্যবস্থাপত্রের নামে রোগীদের থেকে ৫ টাকা টিকিটের পরিবর্তে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সরকারি আইন অনুযায়ী উপজেলায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে রোগীদের থেকে ৫ টাকা নেওয়ার নির্দেশ থাকলেও নেওয়া হচ্ছে দশগুণেরও বেশি।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, রোগী প্রতি টিকিটের মূল্য ৫ টাকা হলেও আদায় করা হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আবুল কালাম সরদারের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

মোহাম্মদপুর গ্রামের শাহিনুর বেগম নামে এক গৃহিণী, ‘৫ টাকা জমা দিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট নিয়েছি। কিন্তু ডাক্তারের কক্ষে ঢোকার আগে ৫০ টাকা চায় মো. আবুল কালাম সরদার। পরে বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়েই ডাক্তার দেখাতে হয়েছে।’

চড়কখোলা গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তাছলিমা বেগম বলেন, ‘আমি কাউন্টারে ৫ টাকা টিকিটের জন্য জমা দিয়ে লাইনে দাঁড়ালে ডাক্তার আবুল কালাম সরদার বলেন খুচরা ৫০ টাকা করে হাতে নিতে। পরে তিনি ৫০ টাকা নিয়ে আমার সমস্যা অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন লিখেছেন। ৫০ টাকার এক পয়সা কম হলে তিনি রোগী দেখেন না।’

জসিম উদ্দিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘৫০ থেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে যদি আমাদের ব্যবস্থাপত্র নিতে হয় তাহলে সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে কিসের জন্য?’

অভিযোগের বিষয়ে মো. আবুল কালাম সরদার বলেন, ‘এই কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন এমএলএ ও একজন পিয়ন থাকার কথা থাকলেও সব পোস্ট ওই শূন্য রয়েছে। আমাকে একাই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিচালনা করতে হয়। আমি যে ৫০ টাকা কিংবা ১০০ টাকা করে রোগীদের থেকে নেই বিষয়টি আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ জানেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি।’

মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দুলাল আহমেদ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনিয়ম হচ্ছে সেটা আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সরকার নির্ধারিত টাকার চাইতে অতিরিক্ত টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকারি নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫ টাকা করে নেওয়ার। বেশি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’