ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কুমিল্লায় এক বছরে সড়ক দুঘর্টনায় নিহত ১৬৯ জন!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

বাংলাদেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ কুমিল্লার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সড়ক দুঘর্টনা থেমে নেই। বিগত ২০১৯ সালে ১২৬ টি সড়ক দুঘর্টনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। প্রায় ৩ শতাধিক যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কিঃমিঃ অংশ, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক, কুমিল্লা- নোয়াখালি, কুমিল্লা-চাদঁপুর আঞ্চলিক সড়কে এসব বড় ধরণের দুঘর্টনা ঘটছে।

বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব দুঘর্টনার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলঃ

০ যানবাহনগুলোর অবাধ গতি ।

০ যানবাহনের চালকদের মুঠোফোনে কথা বলার প্রবণতা ।

০ প্রায় সময় মহাসড়কে অবৈধভাবে সিএনজি অটোরিক্সার চলাচল ।

০ যানবাহনগুলোর মধ্যে ওভারটেকিং প্রবণতা ।

০ ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল ।

০ যেখানে সেখানে যাত্রী উঠা-নামা করানো।

০ চৌদ্দগ্রাম সড়কের এবড়ো-থেবড়ো সড়ক।

চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক দুঘর্টনাগুলোর উপর। যেমনঃ ডিসেম্বর মাসে ৬টি দুঘর্টনায় ৮ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হন। ২৪ ডিসেম্বর চান্দিনা ও দেবীদ্বার উপজেলার সীমান্তবর্তী নূরমানিকচর এলাকায় একটি গাড়ি চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিয়ন্ত্রনহীন গাড়িটা চাচা-ভাতিজিকে চাপা দিলে তারা ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরো দুইজন। ২০ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ইউনিক যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আমেনা বেগম (৫০) নামে মহিলা যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০জন। ১৫ ডিসেম্বর দাউদকান্দি উপজেলায় ট্রাক্টরের লাঙ্গলে পেচিয়ে তাওহিদ (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়। ১৪ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকায় মোটর সাইকেল দুঘর্টনায় চালক মাসুম (২৫) নিহত হয়েছে। ১০ অক্টোবর লালমাই উপজেলায় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী উপকূল বাসের সাথে ময়দাবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের হেলপার নিহত হয় এবং ছোট একটি শিশু নিহত হয়। এ সময় আহ হয় প্রায় ১৫ জন । ৩ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রামে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় আবুল কালাম ওরফে কালা মিয়া (৮৭) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।

নভেম্বর মাসে ১২টি সড়ক দুঘর্টনায় ১৩ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন ১৮ জন। ২৬ নভেম্বর দাউদকান্দিতে কাভার্ডভ্যান চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে । ২২ নভেম্বর হিমালয় পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপের হেলপার মাইন উদ্দিন (২২) নিহত হন। আহত হয়েছেন পিকআপটির চালক। ২০ নভেম্বর ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণে টহলরত অবস্থায় ট্রাক চাপায় সদর দক্ষিণ মডেল থানার কন্সটেবল নূর হোসেন নিহত হয়েছেন। দূর্ঘটনায় থানার এ এস আই মহসিন মিয়া ও কন্সটেবল ইসমাইল গুরত্বর আহত হন। ১৩ নভেম্বর কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পদুয়ার বিশ্বরোড সংলগ্ন মিস্ত্রী পুকুরপাড় এলাকায় ট্রাক চাপায় এসআই লিংকন নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। ১৩ নভেম্বর বুড়িচংয়ে মাছবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজন নিহত হন। ১০ নভেম্বর চান্দিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে অগ্নিকান্ডে ঘটনাস্থলে শিশুসহ ৩জন পুড়ে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ৫ জন। ৪ নভেম্বর চান্দিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় দোকানের উপর আছরে পরে দুই ট্রাক। এতে ইব্রাহিম( ২২) নামে এক ট্রাক হেলপার নিহত হন। ৩ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার শহিদনগর এলাকায় পিকনিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন শিক্ষার্থী। ৩ নভেম্বর কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ও মেডিকেলের ছাত্রীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে।

অক্টোবর মাসে ১৫ টি সড়ক দুঘর্টনায় ১৯ জন নিহত ও ৮৮ জন আহত হয়েছেন। ২৯ অক্টোবর লাকসাম উপজেলায় ট্রাকচাপায় রনি (১৩) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হন। ২৮ অক্টোবর জাঙ্গালীয়া সড়কের কচুয়া চৌমুহনী এলাকায় বেপরোয়া শাহ-আলী সুপার নামক যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পৃষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ২৮ অক্টোবর লাকসাম উপজেলায় ট্রাক -সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক মোতালেব (২২) নিহত হন। ২ জন আহত হন। ২৫ অক্টোবর দাউদকান্দিতে যাত্রীবাহি ঢাকাগামী হিমালয় বাস থেমে থাকা একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এ সময় কমপক্ষে ৩০ জন বাস যাত্রী আহত হয়। ২৩ অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে চলন্ত বাসে উঠার সময় দুলাল চন্দ্র দাস (৫০) নামের এক রেলওয়ে কর্মচারীর মৃত্যু হয়। ২০ অক্টোবর চৌদ্দগ্রামে অবৈধ মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাপায় ফারজানা ইসলাম মীম নামে আড়াই বছরের এক শিশু কন্যা নিহত হয়েছে। ১৪ অক্টোবর হোমনায় নসিমন উল্টে এক শিশু নিহত এবং চালকসহ দুইজন আহত হয়েছেন। ১২ অক্টোবর নগরীতে অটোরিক্সার ধাক্কায়এক শিশু কণ্যার মৃত্যু হয়। ১১ অক্টোবর সদর দক্ষিণের সোয়াগাজী এলাকায় বাসের চাপায় পিকআপভ্যানের চালক ও যাত্রীসহ ২ জন নিহত হন। ১১ অক্টোবর দাউদকান্দি উপজেলার মানিককান্দি গ্রামে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে ৪০ জন আহত হয়। এ সময় একজন নিহত হয়। ৮ অক্টোবর বুড়িচং উপজেলায় উল্টোপথে আসা বাসের চাপায় আব্দুল খালেক (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর চান্দিনায় পিকআপ চাপায় মাসুম (২১) নামে এক যুবকের বিকৃত মরদেহ দেখে চিৎকার করে মরিয়ম (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ৫ অক্টোবর দাউদকান্দিতে নতুন মোটরসাইকেল কিনে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর গ্রামের রুবেল মিয়া (২৫) ও সুমন মিয়া (২২) নামের আপন দুই ভাই নিহত হন। ৪ অক্টোবর সদর দক্ষিণ উপজেলায় যাত্রীবাহী তিনটি বাস ও ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন ১২ জন। ২ অক্টোবর সদরের বালুতুপা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়।

সেপ্টেম্বর মাসে ৭টি সড়ক দুঘর্টনায় ১২ জন নিহত ও ১১ জন আহত হন। ২৮ সেপ্টেম্বর চান্দিনা উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় সফিকুর রহমান (২৫) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়। ২২ সেপ্টেম্বর সদর দক্ষিণ উপজেলায় মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি স্বামী ও স্ত্রী নিহত হয়। এ সময় তাদের দুই সন্তান আহত হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর সদর দক্ষিণে রং সাইডে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়। ১১ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক্টর উল্টে চালক হারুন মিয়া (৩৯) নিহত হন। দুর্ঘটনায় চালকের সহকারী সজীব মিয়া আহত হন। ৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার নূরপুরে ট্রাকচাপায় এক অটোযাত্রী নিহত হয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর চৌদ্দগ্রামের বাবুর্চি বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আক্তার হোসেনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন আরো ৪ জন। ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম সহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মুসা কলিমুল্লাহ (৫৫) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হন।

আগষ্ট মাসে ১২ টি সড়ক দুঘর্টনায় ১৪ জন নিহত ও ১৩৭ জন আহত হন। ৩০ আগষ্ট বুড়িচংয়ে পায়রা এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সড়কেই উল্টে যায়। এ সময় বাসের প্রায় ৩৫ জন যাত্রী আহত হয়। ২০ আগষ্ট সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেবিদ্বারের কুরছাপ এলাকায় অজ্ঞাত বাসের চাপায় মাইক্রোবাস যাত্রী সালাউদ্দিন (৭০) ও আব্দুল মালেক (৬০) নামে দুই ভাই নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো তিনজন।১৮ আগষ্ট বেলা পৌণে ১২ টায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকায় তিশা বাস-সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও মাইক্রেবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জনসহ মোট ৮ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২ জন। ১২ আগষ্ট থেকে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত চান্দিনায় ৩ দিনে এমপির গাড়িসহ ৭টি দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২, আহ ত শতাধিক। ১০ আগস্ট রাতে বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার বাজার এলাকায় বাস চাপায় হাজী মোঃ রমিজ উদ্দিন মাষ্টার (৬৮) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ২ আগষ্ট রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কালাকচূয়ায় বিরতি রেস্টুরেন্টের সামনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।

জুলাই মাসে ৭ টি সড়ক দুঘর্টনায় ১৩ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হন।
৩১ জুলাই ভোর ৬ টায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া এলাকায় গরুবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে তিন গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ২১ জুলাই দুপুরে মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় রুপিয়া বেগম (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। ২০ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিনের সুয়াগাজী এলাকায় বাসচাপায় ওহিদুজ্জামান নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। ১৭ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমানগন্ডা ও কালির বাজার এলাকায় দুটি দুঘর্টনায় তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ১১ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ট্রাকের ধাক্কায় বাস খাদে পড়ে চার যাত্রী নিহত হয়েছে। এসময় আরও ১৫-১৬ যাত্রী আহত হয়। ১০ জুলাই রাত ১১ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পারাপারের সময় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ট্রাকের চাপাঁয় অজ্ঞাত নারী (৩০)নিহত হয়।

জুন মাসে ১২ টি সড়ক দুঘর্টনায় ১৩ জন নিহত ও ৯৫ জন আহত হন।
৩০ জুন মুরাদনগরের ছালিয়াকান্দি বাজারের পাশে নিয়ামতকান্দি নামক স্থানে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রোজিনা (২০) নামে এক সিএনজি যাত্রী নিহত হয়। ২৭ জুন চান্দিনার বড় গোবিন্দপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হাজীগঞ্জগামী তিশা বাসের বেপোরায়া গতির কারনে ব্রেকফেল হয়ে সড়কে উল্টে ৩০ জন আহত হয়েছে। তবে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। ২৭ জুন দুপুরে দাউদকান্দি উপজেলায় যাত্রীবাহি রয়েল কোচ বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের ডোবায় পড়ে দুই মহিলা যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১২ জন যাত্রী। ২১ জুন চান্দিনার মাধাইয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপায় অজিত কুমার দাস (৭০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছে। ২০ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সুজাতপুরে বাসের চাপাঁয় পথচারি অজ্ঞাত যুবক (২২) নিহত হয়েছে। ১৮ জুন চৌদ্দগ্রামে পিকআপ ভ্যানের পিছনে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় বাহরাইন প্রবাসীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিন জন। ১৬ জুন নিমসার আগাতা ফিড ফ্যাক্টরি সামনে ট্রাক্টর ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক্টরের চালক হেলাল নিহত হয়েছেন। ১৪ জুন চান্দিনার নুরীতলা এলাকায় যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছে। ১২ জুন চান্দিনা উপজেলায় পুলিশের একটি মাইক্রোবাসে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ১১ই জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত অফিসের সামনে মোটরসাইকেল ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। ৪ জুন চান্দিনায় নুড়িতলা নামক স্থানে আল-বারাকা নামক একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন যাত্রী আহত হয়। ৩ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় পিআইবি পুলিশের গাড়ির চাপাঁয় তিন পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

মে মাসে ৫টি সড়ক দুঘর্টনায় ৬ জন নিহত এবং আহত হয় ৪ জন।
২১ মে চান্দিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন পথচারীর মৃত্যু হয়। ১৭ মে মুরাদনগর উপজেলায় কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চাপায় ডলি আক্তার(৩৬) নামের এক নারী নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ২ জন। ৮ মে কোম্পানীগঞ্জ বাজারের বেরীবাধ এলাকায় ট্রাক চাপায় আনোয়ার হোসেন(৩৫) নামের এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়। ৭ মে রাতে হোমনায় ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার নিচে চাপা পড়ে সালাম মৃধা(৪৫) নামের এক অটোরিক্সা মিস্ত্রীর নিহত হয়েছে। ৫ মে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পিকআপ ভ্যান উল্টে ২ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্ততপক্ষে আরো ২ জন।

এপ্রিল মাসে ৮টি সড়ক দুঘর্টনায় ৮ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়।
২৯ এপ্রিল চৌদ্দগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৮জন। একই দিন বিকেলে মুরাদনগর রোডের উত্তর ত্রিশে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অপর আরোহী। ১৮ এপ্রিল কুমিল্লা জাগুড়ঝুলি এলাকায় গাড়ির চাপাঁয় রিয়াদ হোসেন (১৯) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে এক মোটরসাইকেল আরোহী। ১৮ এপ্রিল চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. আবুল হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। ১৪ এপ্রিল সদর দক্ষিণ উপজেলায় কার্ভাডভ্যানের চাপাঁয় মোটরসাইকেল চালক দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ সময় আরো দুই আরোহী আহত হয়। ১৩ এপ্রিল বুড়িচংয়ে বাস চাপায় আবুল খায়ের (৫৪) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। ৫ এপ্রিল চান্দিনায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় আবদুল আলিম (২৫) নামের এক ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দুই পথচারী আহত হয়।

মার্চ মাসে ৮ টি সড়ক দুঘর্টনায় ৮ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়। ৩১ মার্চ চৌদ্দগ্রামে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মো. আব্দুল কাদের (৩০) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। ৩০ মার্চ সদরের আলেখারচরে সড়ক দূর্ঘটনায় শরিফা আক্তার বৃষ্টি (১৮) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। ২৯ মার্চ দেবিদ্বার উপজেলায় চান্দপুর সড়কে ট্রাক্টরের চাপায় আয়শা আক্তার (৫০) নামের এক নারী পথচারি নিহত হয়েছেন। ২৬ মার্চ বুড়িচং উপজেলায় ট্রাক্টরের চাপায় শাহেরা বানু (৫৫) নামে এক পথচারি নারী নিহত হয়েছে। ২৬ মার্চ চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় ট্রাকের চাপাঁয় মাহমুদা আক্তার (১৪) নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ২৬ মার্চ সদর দক্ষিণের মোস্তফাপুর এলাকায় লেগুনা পরিবহন সড়কে উল্টে রিয়া সাহা (১৫) নামের এক দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো আরো ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ১৮ মার্চ চান্দিনা উপজেলাধীন বড়গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় বাস চাপায় আব্দুল হাকিম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটে। ৫ মার্চ হোমনায় মেসার্স হাজি মো. আহাম্মদ আলী কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ বালুবাহী ট্রাক্টর চাপায় ফাহিম (৬) নামের এক শিশু নিহত হয়।

ফেব্রুয়ারী মাসে ৮টি সড়ক দুঘর্টনায় ১৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি চান্দিনা উপজেলার কাভার্ড ভ্যান চাপায় তিন পথচারী নিহত হয়েছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি দাউদকান্দিতে দু’টি বাস খাদে পড়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন। ২৪ ফেব্রুয়ারি বুড়িচং উপজেলার অলিপুর সড়কে সোলায়মান (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শহরের বালুতুপা এলাকায় একটি বালুবাহী ট্রাক্টরের চাপায় রিহান (৪) নামে এক শিশু ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গাংরা এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ময়নামতির হরিণধরা এলাকায় লেগুনা ও যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন মহিলা যাত্রী নিহত হলেও তার শিশু সন্তানটি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৫ যাত্রী। ৬ ফ্রেবুয়ারী মহানগরীতে দোয়েল সুপার পরিবহন বাসের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেব আলী (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন যাত্রী। ৩ ফেব্রুয়ারী মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা দক্ষিণ বাজার নামক স্থানে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন।

জানুয়ারী মাসে ১৭টি সড়ক দুঘর্টনায় ৩৬ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়।
২৯ জানুয়ারি আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হন আরও এক আরোহী। ২৮ জানুয়ারি বরুড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খালে পড়ে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছে। ২৮ জানুয়ারী বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া গাজীপুরে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে আবুদ মিয়া (৮০) নামে একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। ২৫ জানুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে ইটভাটার মেসে ঘুমে থাকা ১৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। ২০ জানুয়ারি দাউদকান্দির গৌরীপুরে আবারো বাস চাপায় আওয়াল(৬০) নামে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন নিহতের স্ত্রী মিলন বেগম। ১৯ জানুয়ারী সকালে ও দুপুরে দাউদকান্দিতে দুটি এবং দুপুরে সদরে একটি ও বুড়িচংয়ে একটি সড়ক দুঘর্টনা ঘটে। পৃথক ৪ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুঘর্টনায় আহত হয়েছেন ১২ জন। একই দিন ক্যান্টনমেন্ট ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের রেকারের নিচে পড়ে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ১৮ জানুয়ারী বরুড়া উপজেলায় মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোঃ সুমন মিয়া (৩২) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হন ৪ জন যাত্রী । ১৭ জানুয়ারি লাকসাম উপজেলার চন্দনা বাজারে যাত্রীবাহী বাস ও সিএসজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ইদ্রিস (৫০) ও মোঃ আলম (৩২) নামের দুইজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন ৪ জন । ১৫ জানুয়ারী বুড়িচংয়ের নিমসারে পিকআপ ও লড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পিআপের চালক নিহত হয়েছেন। ১৪ জানুয়ারী চৌদ্দগ্রামে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় খোরশেদ আলম (৫৫) নামের এক মোটর সাইকেল চালক নিহত হয়। ১৪ জানুয়ারী বরুড়ার নলুয়া চাঁদপুর নামক স্থানে কাভার্ডভ্যানের চাপাঁয় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক (৩২) নিহত হয়েছে। এ সময় দুই স্কুল ছাত্রীসহ আরো ৪ জন আহত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারী চৌদ্দগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় বসরী জুতা ফ্যাক্টরির শ্রমিক রাবেয়া (৩২) নিহত হয়েছেন। ৮ জানুয়ারী দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া এলাকায় ফল বোঝাই পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের জলাশয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে চালক (অজ্ঞাত) ও জসিম (৩০) নামের দুই ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।