ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কুমিল্লায় করোনার ‘দ্বিতীয় ধাক্কা’ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২০  

করোনা ভাইরাসের আসন্ন ‘দ্বিতীয় ধাক্কা’ নিয়ে বাড়তি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রথম ধাপে সংক্রমণের তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে থাকা জেলা কুমিল্লা। আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে কুমিল্লার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ। পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে করোনা প্রতিরোধে গঠিত ওয়ার্ড ও উপজেলা কমিটিগুলো। সতর্কতার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সভা ও সেমিনার। আর চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও করোনা পরীক্ষার যথেষ্ট সক্ষমতা থাকায় প্রথম ধাক্কার মতো দ্বিতীয় ধাক্কাও সফলভাবে মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত কুমিল্লায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২১০ জন। এছাড়াও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত কোভিড-১৯ ইউনিটে আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৭৫ জন। তবে গত একমাস ধরে হাসপাতালটি থেকে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীদের তথ্য দেয়া হচ্ছে না গণমাধ্যমে। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ৩ জুন থেকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেডিকেটেড করোনা ইউনিট চালু করা হয়।

এর আগে ৯ এপ্রিল কুমিল্লায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরদিন ১০ এপ্রিল পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। ৩১ মে পর্যন্ত অবরুদ্ধ ছিল কুমিল্লা জেলা। পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশন এলাকার শনাক্ত রোগী বাড়তে থাকায় নগরীর ৪টি ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়। ১৯ জুন রাত ১২টা থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন ছিল কুমিল্লা নগরীর ৩, ১০, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। এরপর থেকে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ কমতে থাকে কুমিল্লা।

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে বাড়তি সতর্কতার বিষয়ে কুমিল্লার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আবারো করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে; তবে সেটা কবে নাগাদ হবে তা নিশ্চিত নয়। কুমিল্লা জেলায় এখনও নমুনার উপর গড়ে পজেটিভ শনাক্ত হচ্ছে ৮% থেকে ৯%, যা কোনো একসময় ৩০% থেকে ৩৫% পর্যন্ত ছিল। তাই দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে এবার আগে থেকেই সতর্কতা নেয়া হচ্ছে। কারণ, অবহেলা বাড়লেই ঝুঁকি বাড়বে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে। করোনা প্রতিরোধ কমিটিগুলো আরো গতিশীল করা হচ্ছে। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে কোথাও সেবা দেয়া হবে না- এ ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’

জেলা সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এখন থেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের উপজেলা-ইউনিয়ন-গ্রাম ছাড়াও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছি। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের উপর সর্বোচ্চ জোর দেয়া হচ্ছে।  কমিটিগুলোর সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ (সোমবার) আমরা দাউদকান্দিতে প্রস্তুতি ও কন্টাক্ট ট্রেসিং বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি এবং বেসরকারি মিলে কুমিল্লায় করোনা পরীক্ষার জন্য ৩টি পিসিআর মেশিন আছে। এছাড়া আমাদের হাসপাতালগুলোকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নাই। মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।’