ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কুমিল্লায় নামের তালিকা করেও ব্যবস্থা নেই ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩  

১৩৮ জন ভুয়া ডাক্তারের তালিকা তৈরী করে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া হয়েছিলো কুমিল্লা জেলা প্রশাসনকে। গত মার্চ মাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই তথ্য জানিয়েছিলেন সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার। এমবিবিএস বা বিএমডিসির সনদ ছাড়া চিকিৎসা সেবা প্রদান করা চিকিৎসকদের এই তালিকার কাউকে এখন পর্যন্ত আটক গ্রেপ্তার কিংবা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে কি না জানাতে পারেন নি সিভিল সার্জন। শনাক্ত করে তালিকা তৈরী করার পরও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় - দুই মাস যাবত সেসব ব্যক্তিরা ডাক্তার সেজে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে প্রশাসনের চোঁখের সামনেই। বিশিষ্ট চিকিৎসকরা মনে করেন, নাম ঠিকানা জেনেও ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয়ার শামিল।


কুমিল্লার সাবেক সিভিল সার্জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, সিভিল সার্জন মহোদয় তালিকা তৈরী করে প্রশাসনকে দিয়েছেন, এখন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন, এটাই আমাদের কাম্য। এই সময়ের মধ্যে কোন ভুয়া ডাক্তার দ্বারা যদি কেউ প্রতারিত হয়ে ভুক্তভোগী হন তাহলে তার কিন্তু প্রশাসনের উপরই বর্তায়। কারণ ভুয়া ডাক্তারের তালিকাও আছে, আবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনও আছে। সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগকেও প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
বিএমএ ও স্বাচিপ কুমিল্লার সভাপতি স্বনামধন্য চিকিৎসক নেতা আবদুল বাকী আনিস বলেন, এই ব্যাপারে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নাই। প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে সবারই জানা দরকার। প্রয়োজনে আমরা সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করবো- কিন্তু এসব ভুয়া ডাক্তারদের ছাড় দেয়া একেবারেই অনুচিত বলে মনে করি ।  
কুমিল্লা সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার বলেন, আমরা তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন এখন আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না আমি এখনো জানি না।    


এদিকে গত বৃহষ্পতিবারও কুমিল্লা ইপিজেড এলাকা হতে আরিফ হোসেন নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে পুলিশে দেয় সাধারণ জনগণ। স্থানীয়রা জানান, তার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পরে ওই এলাকার কয়েকজন। পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হলে- বেরিয়ে আসে তিনি চিকিৎসক নন। কিন্তু তার ভিজিটিং কার্ডে তার নামের নিচে লেখা ছিলো- এমবিবিএস, বিসিএস(হেলথ), এফসিপিএস(ফার্স্ট)। রাজাপাড়া উত্তর চৌমুহনী এলাকার একটি ফার্মেসীতে তিনি চেম্বার করে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসিবুল ইসলাম জানান, ওই আরিফ হোসেন সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন। তার দেয়া ঔষধ খেয়ে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।


কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনজুর মোরশেদ বলেন, ওই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র বলছে, কুমিল্লা জেলায় শুধু মাত্র ১৩৮ জন নয়, আরো কয়েকগুণ বেশি ব্যক্তি ডাক্তার বা চিকিৎসক পরিচয় দিয় বিভিন্ন স্থানে প্রতারনা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিত হয়ে একটি চিরুনি অভিযান পরিচালিত করতে হবে।


কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে কারণে সিভিল সার্জন মহোদয়কে বলা হয়েছে- তাদের স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ সেসব ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেটগণকে সাথে নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এই দুই মাসেও কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় কেউ ভুক্তভোগী হলে তাদের দায় কে নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আরো বলেন, আমরা তালিকা করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার একটি প্রক্রিয়ায় রয়েছি। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই সেসব ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন এবং তার টীম মাঠে নামবেন এবং প্রশাসন তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।