ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লায় ফের অস্থির পেঁয়াজের দর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৯  

মাসুদ আলম।।  ফের অস্থির হয়ে উঠেছে কুমিল্লা পেঁয়াজের বাজার। জেলা প্রশাসনের নজরদারীরও অস্থিরতা ঠেকানো যাচ্ছে না।
পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের। আমদানিকারক এবং পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে দাম উঠানামা করলেও, বাজারে খুচরা বিক্রেতারা দাম নিয়ে লুকোচুরি খেলছে। দাম বৃদ্ধির ইস্যুতে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে প্রশাসনের একাধিকবার মতবিনিময় হয়। সভায় দাম বাড়বে না বলে প্রশাসনকে আশ^স্ত কলেও কথা রাখছেন না ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কুমিল্লা বিভিন্ন বাজারে কিছু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের বিকিকিনি করছেন সীমিত। আবার কিছু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের কেনা-বেচা বন্ধ করে দিয়েছেন।
কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী শংকর সাহা প্রতিদিনি গড়ে ৫০-৭০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি ‘একশ’ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ বর্তমান পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় ভোক্তারা গালাগালও করছেন বলে তার অভিযোগ।
রোববার বাজার ঘুরে জানা যায়, রফতানি জটিলতায় আট থাকা পুরনো এলসি দিয়ে কিছু পেঁয়াজ কুমিল্লার বাজারে এসেছে। বাকী থাকা টাকার থেকে বাড়তি দাম রেখে ভারতের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ দিয়েছে। এদিকে বর্তমানে মিয়ানমার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু পাইকারিতে ব্যবসায়ীরা পচা পেঁয়াজের অজুহাত দিয়ে পেঁয়াজ ৮৭-৯০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বাজারে। একই পোঁয়াজ ৮৭-৯০ টাকা দরে ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতারা ভোক্তাদের কাছে ৯৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে সহজে বুঝা যায় ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছেন।
কুমিল্লা চকবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে আসা ১২টির মতো ট্রাক পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। তবে এখনো পাইকারিতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৮৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ পেঁয়াজের আমদানি খরচ তুলনামূলক হারে অনেক কম। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ ৯৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
কয়েকজন আড়তদার জানান, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার আগে পেঁয়াজের যেসব এলসি খোলা হয়, সেই পেঁয়াজগুলোও এখন বাজারে আসছে। তবে তা পরিমাণে খুব বেশি নয়। অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের গুণগত মান কিছুটা খারাপ। দেখা যায় এক বস্তা পেঁয়াজের মধ্যে ৩০ শতাংশই থাকে নষ্ট পেঁয়াজ।
চকবাজার পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী নকুল মোদক জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের গাড়ি আসছে কম। এলসিতে বাকী থাকা কিছু পেঁয়াজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ, সাতক্ষীরার ভোমরা এবং হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে এসেছে। বর্তমানে ওই সীমান্তগুলো দিয়ে পেঁয়াজের আমদানী নেই।
তিনি আরও জানান, আমদানিকারক যে দরে বিক্রি করতে বলেন আমাদের সেই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়। এছাড়া পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। কোনো ব্যবসায়ী চাইলেই পেঁয়াজ গুদামজাত করে রাখতে পারবে না। মূলত ভারত রপ্তানি বন্ধ করার কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ে কোনো কারসাজি হচ্ছে না।
পেঁয়াজ কিনতে আসা শরীফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা জানান, পেঁয়াজের বাজার দীর্ঘদিন যাবত অস্থির। আমরা গণমাধ্যমে দেখি পাশ^বর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আসছে। বাজারেও দাম কমেছে। কিন্তু কুমিল্লার বাজারগুলোতে আসলে পেঁয়াজের দামের দৃশ্য একই দেখা যায়। প্রশাসন যখন অভিযান বা মনিটরিং করে তখন বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। আবার যখন প্রশাসন মনিটরিং বন্ধ করে দেয় তখন ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দর যাচাই এবং মনিটরিং আমাদের অব্যাহত রয়েছে। কোন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফেলেই সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের বাজারগুলো চাহিদা অনুযায়ী যোগান না থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তারপরও আমাদের বলা আছে ক্রয়কৃত মূল্য চেয়ে ৫ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।