ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি জমির ওপর কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়: প্রধানমন্ত্রী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশের উন্নয়ন এখনো অনেকাংশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাদী জমির ক্ষতিসাধন করে যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য শিল্পায়নে যাবো। কিন্তু কৃষিকে বাদ দিয়ে নয়। কেননা, আমাদের দেশের উন্নয়ন এখনো অনেকাংশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তিন ফসলী জমিতে তো ইন্ডাস্ট্রি করতেই পারবে না। আর যদি এক ফসলী জমি, যেখানে চাষ হয় না সেখানে হবে। তবে, যত্রতত্র করতে পারবে না।

বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ১০ম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তার সরকারের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটার অর্থ হলো আমাদের কোনো কৃষি জমি যাতে নষ্ট না হয়। যেখানে সেখানে যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে, এটা কেউ করতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে চায় তাদেরকে ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে এবং সব ধরনের সার্ভিস সেখানে দেয়া হবে। কাজেই তারা সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। কারণ, ১৬ কোটির ওপর মানুষকে আমাদের খাবার দিতে হবে। অবশ্য আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করায় এখন পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি। ডিম, মাংস, মিঠা পানির মাছ, তরিতরকারি এবং ধান উৎপাদনে তার সরকারের সাফল্যও এ সময় তুলে ধরেন। তার সরকারের ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে যার যার বাড়িকে তার তার খামারে পরিণত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কেউ বসে থাকবে কেনো, সবাই কাজ করবে। যে যেভাবে উৎপাদন করতে চায়, যা উৎপাদন করতে চায়। আমরা সেই সুযোগটা দেব এক টুকরো জমিও অনাবাদী থাকবে না। অনাচে, কানাচে, ঘরের পাশে, জলা, ডোবা যাই থাকুক এমনকি ছাদের ওপরে পর্যন্ত যেন চাষ হয় এবং ফসল উৎপাদন হয় এবং কৃষকরা ভিটেবাড়িতেও যেন ফসল উৎপাদন করতে পারে সেজন্য আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পটি আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কৃষকলীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা এবং সহ-সভাপতি শরিফ আশরাফ হোসেন।

কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক সমীর চন্দ্র চন্দ্রের সঞ্চালনায় সর্ব ভারতীয় কিষাণ সভা’র সাধারণ সম্পাদক অতুল কুমার অঞ্জন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা পর্বের আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সব গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।