ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কেন্দ্র দখলের অভিযোগে কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পণ্ড!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২২  

 

শিক্ষকদের একপক্ষের বাধা ও ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পণ্ড হয়ে গেছে।  বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও এসব অভিযোগের কারণে ভোট স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশনার।
জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিন ভোটগ্রহণের স্থান (পরিসংখ্যান বিভাগ) নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। তবে সকালে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য শিক্ষকরা লাইনে এসে দাঁড়ালে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক এসে বাঁধা সৃষ্টি করেন। পরে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছেÑ এমন অভিযোগ দাঁড় করিয়ে নিজের প্রক্টরিয়াল বডি নিয়ে দরজার প্রবেশাদ্বার বন্ধ করে দেন তারা। পরে নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিতের ঘোষণা দিলে দরজা ছেড়ে দেন তারা ।
ওমর-জাহিদ পরিষদের দাবি, বিজ্ঞান অনুষদের নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে কিছুই জানত না তারা। পূর্বে সকল নির্বাচন শিক্ষক লাউঞ্জে হলেও এবার কেন নির্বাচন বিজ্ঞান অনুষদে করতে হবে?
এদিকে নির্বাচন কমিশনের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক সমিতিকে নির্বাচনের অনুমতি প্রদান না করাই এখানে (পরিসংখ্যান বিভাগে ক্লাসরুম) নির্বাচন আয়োজন করতে হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানদেরও নির্বাচনের স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ আমাদের জানিয়ে ছিলো শিক্ষকদের একটি পক্ষও (ওমর-জাহিদ) তাদের পোগ্রাম পরিচালনার জন্য লাউঞ্জ চেয়েছে। সেজন্য আমাদের বা কাউকেই দেওয়া হবে না।
লাউঞ্জ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান’কে একাধিকবার কল দিয়েও বন্ধ পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনের দিনে কেন কর্মসূচি করতে চাইলো জানতে চাইলে ওমর সিদ্দিকী বলেন, এটা আমরা অনেক আগে আবেদন করেছি। কখন করেছি সেই তারিখ আমার মনে নাই। যার অংশ হিসেবে আজকে আমরা মানববন্ধন করেছি।
এদিকে ওমর-জাহিদ পরিষদ ১ ডিসেম্বরের জন্য কখন লাউঞ্জের আবেদন করেছে জানলে চাইলে রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, তারিখটা তো..... নির্বাচন কমিশন যখন চেয়েছিলো, তখনই তাঁরা চেয়েছে।
ভোটারের ভূমিকায় সেখানে ছিলেন নাকি প্রক্টরের ভূমিকায় উপস্থিত ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক হিসেবে ভোটারও থাকতে পারে, আইনশৃঙ্খলার জন্য সেখানে প্রক্টরের ভূমিকাও পালন করতে হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমান প্রক্টরিয়াল বডি’র একজন সদস্য ব্যতীত সকলেই ওমর-জাহিদ পরিষদের শিক্ষক। নির্বাচনের সময় সার্বক্ষণিক তাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাইদুল-মুর্শেদ পরিষদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের কয়েকজন ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত কক্ষটিতে অবস্থান করে এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটায়।
এদিকে ওমর-জাহিদ পরিষদ প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশন গঠন ও দিন তারিখ নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাদের দাবি, সাধারণ সভা আয়োজন করেই নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে হবে। পরে নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি তাঁরা।
সামগ্রিক বিষয়ে সাইদুল-মুর্শেদ পরিষদের দাবি, গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয়াদী সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে শুরু এগুলোর প্রক্রিয়াকে অনিয়মতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। এর পেছনে রয়েছে গুরুতর দুরভিসন্ধি ও অন্যায্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়। প্রকাশ্যে যারা এ নির্বাচনকে বানচাল করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে।
এদিকে সাইদুল-মুর্শেদ পরিষদের একজন বলেন, কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগের বিষয় আছে এখানে, যারা কয়েকজনের নিকট আত্মীয়। এছাড়াও উপাচার্য স্যার হয়তো কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইটেরিয়াকে অবমামনা করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য এমন পায়তারা করছে। হয়তো নিয়োগ দিয়েই ফেলবে।

নির্বাচন বানচাল কারীদের শাস্তির দাবি :
নির্বাচনে গোলযোগ সৃষ্টি ও বানচাল কারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ (সাইদুল-মোর্শেদ) পক্ষ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবী জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক আজ (গতকাল) ১ তারিখ সকাল ৯:০০ ঘটিকা হতে দুপুর ১:০০ ঘটিকা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির একাদশ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোট কেন্দ্র অবৈধভাবে দখল করে গোলযোগ সৃষ্টি করে ভোট গ্রহণে বাধার সৃষ্টি করে। সেই সকল শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরদের কয়েকজন ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত কক্ষটিতে অবস্থান করে এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটায় যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
‘নির্বাচন কমিশন এবং ভোট দিতে আসা উপস্থিত ভোটারগণের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা জোর করে কক্ষ দখল করে উচ্চবাচ্য করে, যেটি সম্পূর্ণভাবে অশিক্ষকসুলভ। নির্বাচন কমিশনারগণ তাদের সকলকে কক্ষ ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের পরিবেশ করে দেওয়ার জন্য বার বার করজোড়ে অনুরোধ করলে, সে অনুরোধকেও তারা অগ্রাহ্য করে। এতে করে উপস্থিত ভোটারগণ ভোট দিতে পারেননি এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশন আজকে নির্বাচনকে স্থগিত ঘোষণা করে। এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক ঘটনা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদির দেখভালকারী একটি পেশাজীবী সংগঠন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শিক্ষক সমিতির একটি লিখিত গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয়াদী সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে অত্যন্ত বিস্ময় ও উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে, এসকল শিক্ষকই শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন ও এর গঠন প্রক্রিয়াকে অনিয়মতান্ত্রিক আখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জোর চেষ্টা করেছে। এর পেছনে রয়েছে গুরুতর দুরভিসন্ধি ও অন্যায্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়। এ ধরনের দুরভিসন্ধি এবং মিথ্যাচার অত্যন্ত দুঃখজনক এবং যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।
গোলযোগ সৃষ্টি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ উদ্ভূত এ পরিস্থিতি এবং পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সকলের প্রতি তিব্র নিন্দা জ্ঞাপনসহ প্রকাশ্যে যারা এ নির্বাচনকে বানচাল করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে