ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

কোরবানির ইতিহাস ও ঈব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২০  

কোরবানি ইবাদত হিসেবে স্বীকৃত হওয়া যদিও হজরত আদম (আ.) এর যুগ থেকেই সাব্যস্ত। কিন্তু এর বিশেষ তাৎপর্য হজরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আ.) এর ঘটনা থেকে শুরু হয়েছে। প্রভু প্রেমের বিরল এ ঘটনার স্মরণার্থেই শরীয়তে মুহাম্মদিয়ায় কোরবানিকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করা হয়েছে। 

পৃথিবীর ইতিহাসে এ ঘটনা নজিরবিহীন ও শিক্ষণীয়। পবিত্র কোরআনে সূরা সাফ্ফাতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোরবানির বিষয়টি বোঝার একমাত্র উপায় শিক্ষণীয় ঘটনা হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর ঘটনা। কোরআন ও নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েত দ্বারা ঐতিহাসিক এ ঘটনার যতটুকু অংশ সাব্যস্ত তা বর্ণনা করা হচ্ছে। 

হকের দাওয়াত:

নবীদের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন নবিওয়ালা দায়িত্ব ও হকের দাওয়াত শুরু করলেন তখন সর্ব প্রথম স্বীয় পিতা আযরকে অত্যন্ত আদবের সঙ্গে মূর্তি পূজা বর্জনের দাওয়াত দিলেন। কিন্তু তিনি এতো বেশিই ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন যে, অকথ্য নির্যাতন করা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরিশেষে ফলাফল এই দাড়াঁয় নিজের পূর্ব পুরুষের প্রতিমা পূজা ছেড়ে দেয়া এবং এক অদ্বিতীয় মহান আল্লাহর পথে আহ্বান করার কারণে আপন পিতাসহ সম্প্রদায়ের সবাই হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর বিরোধিতা করা শুরু করলো।

স্বজাতির শত্রুতা ও আগুনে নিক্ষেপ করা:

জালেমরা এই মহান ব্যক্তিকে আগুনে নিক্ষেপ করে জালানোর জন্য এক হয়ে যায়। তারা যখন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করছিল তখন হজরত জিবরাঈল আমিন আসলেন এবং বললেন যে, আমার সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি উপস্থিত তখন ইব্রাহিম (আ.) বললেন সাহায্য যদি আপনার পক্ষ থেকে হয় তাহলে প্রয়োজন নেই। যেই মহান সত্তার জন্য আমার এই অবস্থা হচ্ছে তিনি ‘আলিম, খাবির’। তিনি আমাকে দেখছেন তিনি আমার জন্য যা কিছু করবেন তাতে আমি সন্তুষ্ট আছি।

ইরাক থেকে হিজরত:

আল্লাহ তায়ালা আগুনকে بردا وسلاما (অর্থাৎ ঠান্ডা ও আরামদায়ক) হওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুহূর্তে আকাশচুম্বি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য বাগানে পরিণত হলো। 

হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর প্রকাশ্য মুজিযা দেখে ঈমান আনার পরিবর্তে শত্রুতা আরো প্রকট হলো। মা-বাবা, বংশ এবং মাতৃভূমি আল্লাহ তায়ালা থেকে বিমুখ হওয়ার কারণে সব কিছুকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তখন তিনি বললেন انى ذاهب الى ربى سيهدين  (আমি আমার রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল তিনি আমাকে তাঁর প্রিয় জায়গার পথ দেখাবেন)। উদ্দেশ্য হলো আমি এমন এক জায়গায় যাব যেখানে প্রতিপালকের আহকাম সমূহ নির্দ্বিধায় পালন করা যাবে। 

হজরত লূত (আ.) যিনি তাঁর ওপর ঈমান এনেছেন তাকে নিয়ে স্বীয় মাতৃভূমি ইরাক ত্যাগ করলেন এবং ফিলিস্তিনের কেনয়ানে অবস্থান করলেন। ছিয়াশি বৎসর বয়সে নিজের মাতৃভূমি, মা-বাবা পরিবার-পরিজন সবাইকে আল্লাহ তায়ালার জন্য ছেড়ে দিয়ে অপরিচিত জায়গায় বন্ধু-বান্ধব ও সাহায্যকারী ছাড়া বসবাস করতে লাগলেন।

সন্তানের জন্য প্রার্থনা:

সন্তান মহান আল্লাহর সেরা নেয়ামত। সন্তানের মাধ্যমেই বংশ পরম্পরা যুগ যুগ জিইয়ে থাকে পৃথিবীর বুকে। ধরণীর মাঝে আল্লাহর একাত্ম কায়েম রাখার মাধ্যমও বটে। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এ দুরবস্থার সময় মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া করলেন,
 
رب هب لى من الصالحين

বঙ্গানুবাদ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নেককার সন্তান দান করুন।’ মহান আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন।
 
ইসমাঈল (আ.) এর জন্মের সুসংবাদ:

মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে সন্তানের সুসংবাদ এই শব্দের মাধ্যমে দেন,

فبشرناه بغلم حليم  

বঙ্গানুবাদ : ‘আমি ইব্রাহিমকে সহনশীল সন্তানের সুসংবাদ দিলাম।’ 

কোরআনের ইশারা ও হাদিসের দিক নির্দেশনা তার সাক্ষী যে غلم حليم দ্বারা হজরত ইসমাঈল (আ.) উদ্দেশ্য। হজরত ইসমাঈল (আ.) এর ব্যাপারে غلم حليم বলে তার বিশেষ গুণের দিকে ইশারা করা হয়েছে, কোরবানির সময় যার যথার্থতা প্রকাশ পেয়েছে। কেননা حليم অর্থ সহনশীল। যে কঠিন মসিবতের সময় বিচলিত হয় না। 

আহলে কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী ছিয়াশি বৎসর বয়সে হজরত ইসমাঈল (আ.) এর জন্ম হয়। আর এ সময় হজরত ইসমাঈল (আ.)-ই হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর প্রথম ও একমাত্র সন্তান ছিলেন। আহলে কিতাবের জবাইয়ের বর্ণনায় এসেছে, যে সন্তানকে জবাইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল সে একক ছিল। তাহলে তিনি শুধু মাত্র হজরত ইসমাঈল (আ.)-ই। আহলে কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ীই নিরানব্বই বৎসর বয়সে দ্বিতীয় সন্তান হজরত ইসহাক (আ.) এর জন্ম হয়। 

ভালবাসার নির্মম পরীক্ষা:

হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর বৃদ্ধ বয়সে অনেক দোয়া ও আকাক্সক্ষার পরে জন্ম নেয়া এক মাত্র সন্তান হজরত ইসমাঈল (আ.)। কে জানত! বহু সাধনা ও আকাক্সক্ষার পর জন্ম নেয়া এ সন্তান হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষার কারণ হবে?

প্রথম পরীক্ষা এই ছিল, মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)-কে হুকুম দিলেন, আদরের সন্তান ও সম্মানিত স্ত্রী হাজেরা (আ.)-কে  নিয়ে শাম থেকে হিজরত করে হিজাযের মধ্যবর্তি স্থান যা বালুময় ছিল যেখানে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোনো মানুষ, প্রাণী এমনকি গাছপালাও ছিল না সেখানে তাদের আবাস বানানোর। মহান আল্লাহর প্রিয় বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) বিন্দু মাত্র ভাবনা-চিন্তা ছাড়াই মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন করলেন। প্রিয় সন্তান ও প্রেয়সী হজরত হাজেরা (আ.)-কে ধ্বংসাত্মক মরুস্থানে রেখে যান। যা এক সময় তাদের মাধ্যমে ‘মক্কা মুকারমা’ ও ‘উম্মুল কোরা’ হিসেবে আবাদ হয়। 

শুধু এটুকুই নয়। এবার হুকুম আসল আরো কঠিন  মা ও ছেলেকে এখানে রেখে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে শাম দেশে চলে যাওয়ার। মহান আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহিম (আ.) এর ত্যাগ লক্ষ্য করুন, যে স্থানে এ হুকুম পান সে স্থান থেকেই শাম দেশে রওয়ানা শুরু করেন। এতটুকু সময়ও নষ্ট করেননি যে, হজরত হাজেরা (আ.) এর পাশে বসে একটু সান্তনা দেবেন। এ কথা বলে যাবেন যে, মহান আল্লাহর হুকুমেই এ বিচ্ছেদ। 

যখন হজরত হাজেরা (আ.) দেখলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.) ক্রমে দূরে চলে যাচ্ছেন, তখন তিনি সজোরে চিৎকার দিয়ে বললেন, আমাদেরকে এ ভয়ঙ্কর জঙ্গলে একা রেখে কোথায় চলে যাচ্ছেন? এ কথা শুনেও মহান আল্লাহর অকৃত্রিম বন্ধু ফিরে তাকাননি এক মুহূর্তের জন্য।

অত:পর হজরত হাজেরা (আ.) এর মনে হলো, এ মহান ব্যক্তি মহান আল্লাহর হুকুম ছাড়া আমাদেরকে এ জঙ্গলে একা ফেলে চলে যেতে পারেন না। এবার হজরত হাজেরা (আ.) প্রশ্ন করলেন: মহান আল্লাহ কি আপনাকে এখান থেকে চলে যাওয়ার হুকুম দিয়েছেন? 

মহান আল্লাহর রাহে স্ববর্স বিলিয়ে দেয়া বন্ধু জবাব দিলেন, 
: হ্যাঁ।

একথা শুনে মহিয়সী নারী হজরত হাজেরা (আ.) বললেন, যদি মহান আল্লাহর হুকুমে চলে যান তাহলে মহান রব আমাদের কোনো ক্ষতি করবেন না।

এখন এ নির্জন মরু প্রান্তর যেখানে খাবার- পানি বলতে কিছুই নেই। প্রচন্ড গরমের উত্তাপ। সব ধরনের কষ্টের উপকরণ এখানে কিন্তু কে জানত, এ মরু প্রান্তর এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে দামী স্থানে পরিণত হবে? এ ঘটনা অনেক দীর্ঘ। কিভাবে হজরত হাজেরা (আ.) ও তার সন্তান এ নির্জন প্রান্তরে জীবন বাঁচায়? এ আলোচনায় না গিয়ে আমরা কোরবানির বিষয়ে আলোচনা শুরু করছি। 

যখন বালক ইসমাঈল বাবার সঙ্গে চলা-ফেরা করার ও বাবাকে সাহায্য করার উপযুক্ত হলো তখন ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলেকে বলেন, হে আমার প্রিয় ছেলে! আমি স্বপ্নে দেখেছি, আমি তোমাকে জবাই করছি। এখন বলো, এ বিষয়ে তোমার কি মত? এ কথার উদ্দেশ্য ছিল যে, নবীদের স্বপ্নও ওহির মতো হয়। সুতরাং স্বপ্নে জবাই করা দেখা জবাইয়ের হুকুমের মতোই। এখন তুমি বলো, মহান আল্লাহর এ হুকুম পালনে তুমি কি প্রস্তুত? 

মহান আল্লাহর বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য মহান আল্লাহর নির্দেশের পর কারো সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন ছিল না। মহান আল্লাহর হুকুম পরামর্শের ওপর মওকুফও না কিন্তু এখানে  ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, 

প্রথমত: ছেলের ইচ্ছাশক্তি ও মহান আল্লাহর আনুগত্যের পরীক্ষা হয়ে যাবে। 

দ্বিতীয়ত: যদি সে আনুগত্য বেছে নেয় তাহলে সে সওয়াবের হকদার হবে। কেননা সওয়াবের ভিত্তি ইচ্ছা ও নিয়তের ওপর। 

তৃতীয়ত: জবাই করার সময় মানবিক ও পিতৃ স্নেহের দাবী হলো দুর্ভাবনার আশঙ্কা কোনোভাবে যেন সান্তনা হয়ে যায়। 

রুহুল বয়ান 
উপর্যুক্ত আয়াতে এ শব্দগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যখন সে বাবার সঙ্গে চলার উপযুক্ত হলো। এ আয়াতে এ দিকে ইশারা পাওয়া যায় যে, এই সন্তান যাকে জবাই করার হুকুম দেয়া হচ্ছে, এমন নয় যে সে অবুঝ বরং সে চলাফেরা করতে পারে। বাবার কাজে সাহায্য-সহযোগিতাও করতে পারে। ঐতিহাসিক রেওয়াতের বর্ণনায় পাওয়া যায়, এ সময় হজরত ইসমাঈল (আ.) এর বয়স হয়েছিল নয় বছর। 

রুহুল বয়ান
ওই প্রেক্ষাপটে হজরত ইসমাঈল (আ.) কী পরিমাণ ধৈর্য ধারণ করেছিলেন, তা চিন্তা করাও দুস্কর।
সম্মানিত বাবা মহান আল্লাহর বন্ধু হজরত ইব্রাহিম (আ.) ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। ছেলে বাবার স্বপ্ন শুনে বলেন, হে আমার বাবা! আপনাকে যে কাজের আদেশ দেয়া হয়েছে আপনি সে কাজ করেন। ইনশাল্লাহ! আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। 

এ ঘটনায় যেমনিভাবে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য বয়োবৃদ্ধে জন্ম নেয়া সন্তান কোরবানির মতো মারাত্মক পরীক্ষা অন্যদিকে ছেলে মহান আল্লাহর আনুগত্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করাও ছোট কোনো বিষয় নয় বরং মহান আল্লাহ এ পুরো পরিবারকে তাঁর অগণন পরীক্ষার জন্য বানিয়েছিলেন। এসব ঘটনাই এর প্রমাণ। 

এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, হজরত ইসমাঈল (আ.) এর আনুগত্য তো ঈর্ষণীয় পাশাপাশি হজরত ইসমাঈল (আ.) এর শব্দচয়ন শিক্ষণীয়। তিনি নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর ভরসা করেননি বরং মহান আল্লাহর ওপর ন্যস্ত করেছেন নিজের সর্বস্ব। হজরত ইসমাঈল (আ.) মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করার সময় বলেন, ইনশাআল্লাহ! তিনি এটাও বলেননি আমি ধৈর্যধারণ করবো বরং তিনি বলেছেন, আমাকে ধৈর্যশীলদের মাঝে পাবেন যা বিনয়ের সর্বোচ্চ চূড়া। 

ধৈর্য ও ধীরতার গুণ শুধু মাত্র আমার পূর্ণতা নয় বরং মহান আল্লাহর অগণন বান্দা ধৈর্যধারণকারী ছিলেন। আমিও তাদের অন্তর্গত। নিজেকে এমন সমর্পণ ও বিনয়ের বরকতে হিমালয়ের মতো মহা বিপদের ধাপগুলো পার হয়েছেন অত্যন্ত নিরাপদে।